ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস খেলেও যেন আক্ষেপ শেষ হলোনা মিরাজের। ভিন্ন এক দায়িত্বে নিজেকে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ওপেনিংয়ে নেমে এবার খেললেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসও। কিন্তু শেষটা হলো আক্ষেপে।
মাত্র ৪ রানের জন্য যে ফিফটিটা ছুঁতে পারলেন না! আরব আমিরাতের বাঁহাতি পেসার সাবির খানের যে বলে আউট হয়েছেন মিরাজ, খুব যে কঠিন ছিল ডেলিভারিটি বলার উপায় নেই।
মিরাজ বল মিস করলে পায়ে লাগে, আম্পায়ার আঙুল তুলে দিতে দেরি করেননি। ৩৭ বলে ৫ চারের সাহায্যে ৪৬ রান করে সাজঘরে ফিরতে হলো মিরাজকে। এর আগে তার ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসটি ছিল ৩৮ রানের।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১২৭ রান। মোসাদ্দেক ২১ আর ইয়াসির আলি ৪ রানে অপরাজিত আছেন। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজও টসভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের।
টস জিতে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে আরব আমিরাত। ওপেনিং জুটিতে কেউই থিতু হতে পারছেন না। তাই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছেই। বিশ্বকাপের আগে সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার সুযোগে দলে ঢুকে পড়েছেন সাব্বির রহমান।
কিন্তু সফল হতে আর পারলেন কই? সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে পারলেন না ৩০ বছর বয়সী এই ব্যাটার। প্রথম ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরার পর দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও ফিরলেন ৯ বলে ১২ করে।
একটি ছক্কা মেরেছেন, সেটাও ফ্রি-হিটে। ছক্কা মারার তিন বল পরই আউট হয়েছেন সাব্বির। বাঁহাতি স্পিনার আরিয়ান লাকরার বলটি তার পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হয়, আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
দলীয় ২৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে সাব্বির ওপেনিংয়ে সুবিধা করতে না পারলেও মেহেদি হাসান মিরাজ মেকশিফট ওপেনার হিসেবে বেশ ভালোই খেলছেন।
দলীয় ২৭ রানে সাব্বির ফেরার পর লিটন দাসকে নিয়ে ঝোড়ো জুটি গড়েন তিনি। মিরাজ-লিটনের জুটি থেকে ২৭ বলে আসে ৪১ রান। নবম ওভারে এসে এই জুটিটি ভেঙেছেন আফজাল খান।
কাট করতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ২০ বলে ৪ বাউন্ডারিতে তার ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। আফিফ হোসেন শুরুটা ভালোই করেছিলেন। জহুর খানকে এক ওভারে হাঁকান দুই বাউন্ডারি।
পরের ওভারে আয়ান আফজালকেও ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। কিন্তু তার এক বল পরই আয়ানের লোপ্পা ফুলটস বলটি সীমানাছাড়া করতে পারেননি আফিফ। ১০ বলে ১৮ করে ফিরলেন ডিপ মিডউইকেটে মেয়াপ্পনের দারুণ এক ডাইভিং ক্যাচ হয়ে।