সেই বিরক্তিকর ব্যাটিং, শট নির্বাচনে ভুল আর আক্রমণে অনীহা- সবই পাওয়া গেল বাংলাদেশের ব্যাটারদের মাঝে। আরব আমিরাতের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়ন্টিতেও বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের চেহারা বদলায়নি।
শেষের দিকে ইয়াসির আলী রাব্বির ব্যাটে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান। প্রথম ম্যাচের চেয়ে ১১ রান বেশি। দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ মঙ্গলবারও টস হেরেছে বাংলাদেশ।
মিরাজ-সাব্বির জুটি দিয়েই টাইগারদের ইনিংস শুরু হয়। দ্বিতীয় বলেই বাউন্ডারি মেরে রানের খাতা খোলেন মেহেদি মিরাজ। শেষ বলটি ব্যাটের কানায় লাগলেও ভাগ্যগুণে বাউন্ডারি পেয়ে যানা সাব্বির রহমান।
তৃতীয় ওভারে একটি নড়বড়ে ছক্কাও মারেন। দুজনের ব্যাটে ভালোই এগোতে থাকে বাংলাদেশের স্কোর। তবে শীঘ্রই ঘটে ছন্দপতন। আরিয়ান লাকরার করা চতুর্থ ওভারেই লেগে বিফোরে ফাঁদে পড়েন ৯ বলে ১২ রান করা সাব্বির।
ওপেনিং জুটি ভাঙে ২৭ রানে। মিরাজ-লিটনের ব্যাটে পাওয়ার প্লেতে আসে ৪৮ রান। এই ছয় ওভারে বাউন্ডারি এসেছে ৬টি আর ওভার বাউন্ডারি একটি।
তবে আজও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি লিটন। আরিফান আফজালের বলটি অফসাইডে খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন কার্তিকের হাতে। ২০ বলে চার বাউন্ডারিতে ২৫ রান করেন লিটন। তার বিদায়ে ভাঙে ২৮ বলে ৪১ রানের জুটি।
প্রথম ম্যাচের হিরো আফিফ আজও দুর্দান্ত ছিলেন। তবে ১০ বলে ১৮ রান করেই তাকে থামতে হয় সীমানায় ক্যাচ দিয়ে। ১০ ওভারে আসে ৮৩ রান। একপ্রান্ত আগলে রাখা মিরাজ টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটির কাছে গিয়েও পেলেন না।
১৫ তম ওভারে ৩৭ বলে ৪৭ রান করে সাবির আলীর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। এটাই তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। মিরাজকে বেশ কিছুক্ষণ সঙ্গ দেওয়া মোসাদ্দেক ২২ বলে ২৭ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন।
ইয়াসির আলী শুরুতে নড়বড়ে হলেও পরে ভালো খেলেছেন। তার ১৩ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ২১* রানের ইনিংস দলের স্কোরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
১০ বলে ১৯* করা অধিনায়ক সোহান শেষ বলে ছক্কা মেরে দলের স্কোর ১৬৯তে নিয়ে যান। বাংলাদেশ দলে এসেছে দুটি পরিবর্তন।
আগের ম্যাচে দারুন বোলিং করা পেসার শরীফুল ইসলাম এবং বাজে বোলিং করা মুস্তাফিজুর রহমান বাইরে চলে গেছেন। তাদের জায়গায় এসেছেন এবাদত হোসেন এবং তাসকিন আহমেদ। সাব্বির-মিরাজ টিকে গেছেন একাদশে। সুযোগ হয়নি সৌম্য সরকারের।