টি-২০ ফরম্যাটে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যেই ছিল। মুনিম শাহরিয়ার, এনামুল হক, সাব্বিরদের পরীক্ষা করা হয়েছে। বিশ্বকাপে ডাচদের বিপক্ষে খেলেছেন শান্ত ও সৌম্য।
৩০ ম্যাচের মধ্যে তাদের দেওয়া ৪৩ রানের জুটি ছিল ওপেনিংয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলের প্রয়োজনে ও কন্ডিশনের চাওয়া অনুযায়ী ওপেনিং জুটি ভাঙা হতে পারে।
অন্য জায়গায় পরিবর্তন আনা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত করেছেন অধিনায়ক সাকিব। ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, প্রতিপক্ষ সহজে পরিকল্পনা বুঝে যায় এমন দল হতে চান না তারা।
সিডনির উইকেট ও একাদশে পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে টাইগার টি-২০ কাপ্তান বলেছেন, ‘আমরা এক ম্যাচে জয় পেয়েছি। এবার আমরা এমন মাঠে খেলব যেখানে স্পিনাররা কিছুটা সহায়তা পায়।
সামর্থ্য অনুযায়ী, ম্যাচে আমরা সর্বোচ্চটা দিয়ে লড়বো।’ দক্ষিণ আফ্রিকা পেস আক্রমণে শক্তিশালী। নাজমুল শান্ত এবং সৌম্য সরকার পেস বোলিং কিছুটা ভালো খেলেন। আবার প্রোটিয়াদের মূল ব্যাটারদের তিনজন বাঁ-হাতি (ডি কক, রুশো, মিলার)।
স্পিনে তাই মেহেদি মিরাজ সুবিধা পেতে পারেন। পার্ট টাইম স্পিনার মোসাদ্দেকও দায়িত্বটা সামলে নিতে পারেন। সব বিবেচনা করেই একাদশ সাজাবেন বলে জানিয়েছেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘আমরা অনুমানযোগ্য দলে পরিণত হতে চাই না। প্রতিপক্ষ ও কন্ডিশন বুঝে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কারণ অস্ট্রেলিয়ার একেকটি মাঠ, কন্ডিশন একেক রকম। সেভাবেই আমরা খেলবো।
হয়তো সব সময় এটা পক্ষে যাবে না। তবে ওই পরিবর্তনের জন্য আমরা উন্মুক্ত।’ সিডনি গ্রাউন্ডে বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাগতিক অজিদের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ২০০ রান তোলে কিউইরা।
অস্ট্রেলিয়ার চার পেসার পাত্তা পাননি ফিন অ্যালেন, ডেভন কনওয়ের সামনে। অন্যদিকে কিউই পেসার টিম সাউদি ও স্পিনার মিশেল সাটনারে ধসে যায় অস্ট্রেলিয়া।
অফ স্পিনার সাটনার তিনটি ও লেগ স্পিনার ইশ শোধি নেন একটি উইকেট। সিডনির উইকেটে শুধু স্পিন সহায়ক নয় ব্যাটিং সহায়কও।