ম্যাচ গড়াপেটার ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। ম্যাচ পাতাতে কেউ যদি ক্রিকেটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তা জানাতে হবে―এটাই আইসিসির নিয়ম।
সেই নিয়ম না মানলে পেতে হবে শাস্তি। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে তারকা সাকিব আল হাসানকে এক বছরের জন্য ক্রিকেট থেকে নির্বাসিত করা হয়েছিল এই ভুলের কারণেই। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের মতো এমন ভুল করেননি ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।
সিরাজের কাছে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব এসেছিল। চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে এই প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। তখনই বিসিসিআইয়ের দুর্নীতিবিরোধী শাখার কর্তাদের জানিয়েছিলেন সিরাজ। সেই ঘটনা এত দিন পর প্রকাশ্যে এসেছে।
২০১৯ সালে এমন ঘটেছিল সাকিবের সঙ্গে। তার কাছে ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন এক জুয়াড়ি। সেই কথা বোর্ডকে প্রথমে জানাননি সাকিব। আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী,
সঙ্গে সঙ্গে বোর্ডের দুর্নীতি দমন শাখাকে জানানো উচিত ছিল সাকিবের। যেটা তিনি করেননি। পরে ঘটনাটি জানাজানি হয়। ফলে এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয় সাকিবকে।
সাকিব ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত নিষিদ্ধ ছিলেন। সাকিবের মতো ভুল সিরাজ করেননি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বোর্ডকে সঙ্গে সঙ্গেই সিরাজ এই ম্যাচ গড়াপেটার প্রস্তাবের কথা জানান।
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের আগে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ খেলেছে ভারত। দুটি সিরিজই জিতেছে ভারত। এই ম্যাচগুলোর কোনোটিতে এক জুয়াড়ির ক্ষতি হয়।
এর পরেই তিনি সিরাজের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বোর্ডের একটি সূত্র পিটিআইকে বলেছে, সিরাজকে যে বার্তা পাঠিয়েছিল সে পেশাদার কোনো জুয়াড়ি নয়। হায়দরাবাদের এক বাসচালক যে ভারতের ম্যাচে নিয়মিত জুয়া খেলে।
একাধিক জুয়ায় হেরে যাওয়ার পর হতাশা থেকেই সিরাজকে হোয়াটসঅ্যাপ করেছিল।’ সিরাজের অভিযোগ পাওয়ার পরেই অন্ধ্র প্রদেশের পুলিশ ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।