Breaking News

এশিয়া কাপ শিরোপা জিতবে আফগানিস্তান: সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান

এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের শুরুটা হয়েছে স্বপ্নের মতো। ৮ উইকেটের বড় জয়ের পথে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কাকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে মোহাম্মদ নবীর দল। ইতিহাস, পরিসংখ্যান কোন বিচারেই এই ম্যাচে এগিয়ে ছিল না তারা।

অথচ উদ্বোধনী ম্যাচেই উপমহাদেশী ক্রিকেটের অন্যতম এলিট সদস্যদের রীতিমতো লজ্জায় ডুবিয়েছে আফগানরা। দুবাইয়ে প্রতিপক্ষকে ১০৫ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর সেই লক্ষ্য তারা টপকে গেছে ১০.১ ওভারে।

তিন দলের গ্রুপ থেকে যেহেতু দুটি দল সুপার ফোরে উঠবে, তাই রান রেটে এগিয়ে থাকা বড় প্লাস পয়েন্ট। শুধু সুপার ফোর নয়, আফগানিস্তান এশিয়া কাপ জিততে পারে বলেই মনে করেন দলটির সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। ২০২০ সাল থেকেই তিনি এমনটা বলে আসছিলেন।

নিজের অবস্থানে এখনও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এই তারকা। ওদিকে লঙ্কানদের বিধ্বস্ত করে আসর শুরু করলেও এখনই বড় স্বপ্ন দেখছেন না নবী, ম্যাচ বাই ম্যাচ এগোতে চাইছেন বর্তমান অধিনায়ক। মঙ্গলবার শারজায় পরের ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ।

হ্যাঁ, আমি এখনও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, আফগানিস্তান এশিয়া কাপ জিততে পারে। টি২০ ফরমেটে অভিজ্ঞতার বিচারেই আমি আমাদের ছেলেদের এগিয়ে রাখছি। বিশেষ করে তারা যখন দুবাইয়ে কিংবা শারজায় খেলে। দলের বর্তমান ফর্ম ও খেলোয়াড়দের কম্বিনেশন দুর্দান্ত।

ক্রিকট্র্যাকারে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেন আসগর আফগান। এশিয়া কাপের এবারের আসরে সূচী অনুযায়ী ছয় দলকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। ‘বি’ গ্রুপে দুই পরাশক্তি ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে আছে বাছাই পেরিয়ে আশা হংকং।

দুই গ্রুপের সেরা দুটি করে মোট চার দল খেলবে সুপার ফোরে। যার অর্থ গ্রুপে প্রতিটি দল একটি করে ম্যাচ জিতলেও রান রেটের হিসাবে সুপার ফোরের রেসে টিকে থাকবে। ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে হংকংকে টপকে ভারত ও পাকিস্তান যে সুপার ফোরে থাকবে, সেটি ধরেই নেয়া  যাই।

সুতরাং এখনই শিরোপার স্বপ্নে বিভোর আসগর আফগানের উত্তরসূরিরা, সুপার ফোরে উঠলেও সেখানে কেমন করে সেটি দেখার অপেক্ষা। রশিদ খান, নবী, মুজিব-উর রহমানদের নিয়ে গড়া আফগানিস্তানের স্পিন আক্রমণ বৈচিত্র্যময়, আসরের অন্যতম সেরা।

ঐতিহ্যগতভাবে শারজার কন্ডিশনও স্পিনারদের অনকূলে। বাংলাদেশের বিপক্ষে পরের ম্যাচেও তাই অনেকেই তাদের ফেবারিটের তালিকায় রাখছেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে আফগানিস্তানের তিন স্পিনার নবী, মুজিব ও রশিদ মিলে ১২ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ৫০ রান, শিকার করেছেন ৪ উইকেট।

শুধু দুবাইয়ের উইকেট বা প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা বলেই নয়, যেকোন দিনই প্রতিপক্ষের জন্য সমান ভয়ঙ্কর আফগানদের এ স্পিনাররা। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তাদের নিয়ে করতে হবে আলাদা পরিকল্পনা।

এর সঙ্গে যদি উইকেটের সাহায্য যোগ হয় তাহলে কাজটা হবে আরও কঠিন। তবে আপাতত সেটি নিয়ে ভাবতে রাজি আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী, ‘আমি এখনও জানি না, পিচের আচরণ কী হবে।

(শারজায়) কখনও পুরোদস্তুর ব্যাটিং পিচ পাওয়া যায়, কখনও কখনও টার্নিং পিচ মেলে। আমি জানি না এবার কী ধরনের পিচ পাওয়া যাবে। স্পিনিং উইকেট হলে সেটি যে বাংলাদেশের জন্যও সুবিধা হবে সে কথা মনে করিয়ে তিনি আরও বলেন যে , বাংলাদেশ নিজেদের দেশে এ ধরনের পিচেই খেলে।

তারা ঘরের মাঠে অনেক ম্যাচ খেলে। আর আমরা এরই মধ্যে শারজায় অনেক ম্যাচ খেলেছি। দুই দলের জন্যই হয়ত উইকেট মানানসই হবে। সবচেয়ে বড় বিষয়, জয়ের জন্য আমাদের সেরাটা দিতে হবে। আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে চাই।

উপমহাদেশী ক্রিকেটের উদীয়মান শক্তি, অন্যতম চমকজাগানিয়া দল আফগানিস্তান এর আগে দুইবার এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। দুইবারই ৫০ ওভারের ফরমেটে। ২০১৪ ও সর্বশেষ ২০১৮ সালে। ২০১৪ সালে আসরে ৪ ম্যাচ খেলে একটিতে জয় পায় তারা। ফতুল্লায় আয়োজক বাংলাদেশকে হারায় ৩২ রানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *