Breaking News

ম্যাচ জয়ের নায়ক রিজওয়ান: ‘আমি পরিশ্রমে বিশ্বাসী, বাকিটা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিই’

ক্রাইস্টচার্চের ব্যাটিং ট্র্যাকে পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলকে ১৬৭ রানে আটকে দেন বাংলাদেশি বোলাররা। এ রান সংখ্যা আরও কম হতেও পারত। যদি না ১০ রানের মাথায় জীবন পেতেন ওপেনার রিজওয়ান।

আর জীবন পেয়ে তিনি খেলেছেন ৭ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় ৫০ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত ইনিংস। পাকিস্তানের ইনিংসে পাওয়ার প্লেতে ৪র্থ ওভারে নাসুম আহমেদের ৫ম ডেলিভারিটি বাবর মিডউইকেটে বল পাঠানো মাত্র রানের জন্য ছুটেন রিজওয়ান।

রান নেওয়া সম্ভব নয় বুঝে তাকে ফিরিয়ে দেন পাকিস্তান অধিনায়ক। এদিকে বল ধরার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন সাব্বির। রিজওয়ানেরও পা ফসকে যায়, তবে কোনোমতে জায়গায় পৌঁছাতে পারেন তিনি।

পরে তার ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৫ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে পাকিস্তান। আর পরে ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের মানসিকতাই দেখাতে পারল না বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৬ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।

একরকম বিবর্ণ ব্যাটিংয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে ২১ রানে হারল সোহানের দল। সঙ্গত কারণেই প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গেছে রিজওয়ানের ভাগ্যে।

সেই পুরস্কার নিতে এলে পা ফসকে যাওয়া ও সাব্বিরের ব্যর্থতায় ১০ রানে জীবন পাওয়ার প্রসঙ্গ তোলেন উপস্থাপক।
জবাবে মোহাম্মদ রিজওয়ান জানালেন, সব কিছুই মহান স্রষ্টার ইচ্ছায় হয়।

পাকিস্তানের এ উইকেটকিপার-ব্যাটার বলেন, ‘আজ মাঠ একটু পিচ্ছিল ছিল। আর আমি সবসময় স্পাইক ব্যবহার করি। আমি পরিশ্রমে বিশ্বাস করি আর বাকিটা আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিই।

ক্রাইস্টচার্চের কোনো কোনো জায়গায় সীমানা কিছুটা বড়। কিন্তু আমরা মেধা খাটিয়ে ব্যাটিং ও বোলিং করেছি। এমন মাঠে পরিকল্পনা না থাকলে জয় পাওয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে।

পুরস্কারের বিষয়ে রিজওয়ান বলেন, ‘(দলের জয়ের দিনে ম্যাচসেরা পুরস্কার গ্রহণ) আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। আজ একটি ভালো ব্যাটিং ট্র্যাকে ব্যাট করেছি।

যে কারণ সহজ-সাবলীল ব্যাটিং করে গেছি। তবে এমন ভালো খেলেও আমরা ১০-১৫ রান কম করে ফেলেছিলাম। এবং আমাদের বোলাররা প্রতিপক্ষকে দারুণভাবে আটকে রাখতে পেরেছে এই লক্ষ্য নিয়ে। ’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *