Breaking News

অবশেষে জানা গেল যে কারনে সাকিবকে মাঠে নামায়নি ‘টিম ম্যানেজমেন্ট’

এসেই দলের অনুশীলনে যোগ দেননি, ট্রফি নিয়ে ফটোসেশনেও থাকতে পারেননি। ব্যক্তিগত কাজেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বলা হচ্ছিল, অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে এতটা অগোছালো-বিক্ষিপ্ত বাংলাদেশ টিম আর কখনো ছিল না।

অবশেষে সাকিব আল হাসান ক্রাইস্টচার্চে গিয়ে হাজির হলেন ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরুর আগেরদিন। অর্থ্যাৎ, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর দলের সঙ্গে যোগ দেন তিনি।

ক্রাইস্টচার্চ গিয়ে তিনি পৌঁছান আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে দীর্ঘ বিমান ভ্রমণ শেষ করে। বিশ্বকাপের দল ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন নুরুল হাসান সোহানই।

আরব আমিরাতে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ওই সিরিজেও দলের নেতৃত্ব ছিলেন সোহান। সিপিএল খেলার জন্য আগেই ছুটি নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজে ছিলেন সাকিব।

সিপিএল শেষ করার পরও সঙ্গে সঙ্গে তিনি নিউজিল্যান্ডে চলে আসেননি। পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে চলে যান নিউইয়র্কে। সেখান থেকে ক্রাইস্টচার্চে ফিরতে ফিরতে বিলম্ব হয়ে যায় বাংলাদেশ অধিনায়কের।

যার ফলে তিনি নিউজিল্যান্ড পৌঁছান বৃহস্পতিবার। মাত্র একদিন আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে গিয়ে দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার পর নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান কী শুক্রবার ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে খেলবেন? এটা ছিল বড় প্রশ্ন।

শোনা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার পৌঁছার পর শুক্রবারই খেলতে নামবেন সাকিব। কিন্তু প্রশ্ন ছিল, দীর্ঘ ভ্রমণক্লান্তির ধকল এড়িয়ে কিভাবে সাকিব পাকিস্তানের মত দলের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে নামবেন?

দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে তার নিজের ফিটনেস ঠিক থাকবে তো? এসব প্রশ্নের সহজ সমাধান হয়ে গেলো আজ। সকালে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে যখন টস করতে নামলেন নুরুল হাসান সোহান।

এর অর্থ, সাকিব আল হাসান একাদশে নেই আজ। তার পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন সোহান। কিন্তু আসলে কী সাকিব নিজে খেলতে চাননি নাকি তাকে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে খেলানো হয়নি?

এটাই এখন জানার আগ্রহ সবার মধ্যে। এ প্রশ্নের জবাব খোঁজার জন্য যোগাযোগ করা হয় প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর সঙ্গে। ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে তিনি শুধু জানালেন, ভ্রমণক্লান্তির কারণে খেলতে পারছে না সাকিব।

তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানালেন সঠিক তথ্য। মূলত সাকিবকে খেলানো হয়নি।

সে খেলতে চায়নি নয়, তাকে খেলানো হয়নি। আগেরদিন দুপুরের পর এসে পৌঁছায় সাকিব। দীর্ঘ ভ্রমণের কারণে টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করেছে সাকিব খুবই ক্লান্ত। এ পরিস্থিতিতে তাকে মাঠে নামানো ঠিক হবে না। যার ফলে তাকে খেলানো হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *