শেষ বিশ্বকাপ খেলতে এসেছেন লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ক্লাব ক্যারিয়ারও শেষের দিকে তাদের। সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, ১ জানুয়ারি থেকে মোটা অঙ্কের বেতনে সৌদি আরবের ক্লাবে খেলবেন রোনালদো।
মেসিও এক মৌসুম পরে ইউরোপ ছাড়তে পারেন। ইউরোপে থেকেই তুলে রাখতে পারেন বুট জোড়া। সব মিলিয়ে তাদের দীর্ঘ অধ্যায় শেষ হতে চলেছে। কাতারে মেসি-রোনালদো এসেছেন শেষটা রাঙাতে।
শেষ বিশ্বকাপে দেশকে শিরোপা জেতাতে এবং সর্বকালের সেরার বিতর্ক থামাতে। ওই লড়াইয়ে লিওনেল মেসি এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন। তিনি শুধু চার ম্যাচে তিন গোল করেননি।
দলের অভিজ্ঞ এবং সেরা তারকা হিসেবে দলকে লিড দিচ্ছেন। অন্যদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো তিন ম্যাচে মাত্র এক গোল করেছেন। সেটাও এসেছে বিতর্কিত পেনাল্টি থেকে। দলনেতা হিসেবে তিনি খেললেও পারফরম্যান্স নেতার মতো হয়নি এখনও।
সিআরসেভেন গোল মিস করেছেন, প্রেসিং ফুটবলে তিনি কম অংশ নিয়েছেন। গোলের সুযোগও কম তৈরি করেছেন। এমনকি গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাকে বদলি করায় কোচের ওপর ক্ষোভও ঝেড়েছেন।
বদলি খেলানোয় এবং বদলি হিসেবে তাকে তুলে নেওয়ায় ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ ও মালিক পক্ষের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্লাব ছাড়তে হয়েছে তাকে।
একই কাজ জাতীয় দলের কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গেও করায় তিনি সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের আগে পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, রোনালদোর আচরণ তার পছন্দ হয়নি।
সংবাদ মাধ্যম মার্কা দাবি করেছে, শেষ ষোলোর সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচ অর্থাৎ সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ৩৭ বছর বয়সী রোনালদোকে বেঞ্চে বসাতে পারেন কোচ।
এমনকি পর্তুগালের সংবাদ মাধ্যম এক জরিপ চালিয়েছে, সেখানে দেখা গেছে ৭০ শতাংশ পর্তুগিজ সমর্থক রোনালদোকে বেঞ্চে রাখার পক্ষে মত দিয়েছে। মাঠে রোনালদোর সবকিছুর উত্তর দেওয়ার পালা।
অনেকে বলেন, রোনালদো বিতর্ক পছন্দ করেন। কারণ তাকে নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেই বরং ভালো খেলেন তিনি। সুইসদের রক্ষণাত্মক ও শারীরিক ফুটবলের বিপক্ষে এবার তার প্রমাণ দিতে হবে।
মেসি যেমন মেক্সিকোর বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নকআউটে দুর্দান্ত দুই গোলে দলকে জিতিয়েছেন। তেমনি রোনালদোকে দলকে টানার দায়িত্ব নিতে হবে।