সাম্প্রতি এমন বাজে পারফর্মের এর কারনে নির্বাচকদের মুখে তালা। কেউ দল নিয়ে একটি কথাও বলছেন না। তারপরও একটা বিষয় মোটামুটি জানা হয়ে গেছে। তাহলো, টাইগারদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নেই কোনো নতুন মুখ। চমক বলতে যা বোঝায়, তার সম্ভাবনাও খুব কম।
তাই দল ঘোষণার আগে সব জল্পনা-কল্পনার কেন্দ্রবিন্দু এখন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এ অভিজ্ঞ ক্রিকেট সৈনিক কি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকবেন? গত কয়েকদিন ধরে এটা নিয়েই আলোচনা ক্রিকেটপাড়ায়।
আগামীকাল (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে ১৫ জনের বাংলাদেশ দল ঘোষণা হবে। সেখানে মাহমুদউল্লাহর নাম থাকবে কিনা, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়।
এদিকে যিনি অনেকসময়ই দলের অনেক ভেতরের খবর মিডিয়াকে দিয়ে দেন, সেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে গণমাধ্যমকে জানালেন, দল নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
নির্বাচকরা তার অনুমোদনের জন্য যে খেলোয়াড় তালিকা পাঠান, এবার এখন পর্যন্ত তাও তার হাতে পৌঁছেনি। তাই রিয়াদ ইস্যুতে বিসিবি সভাপতিও চুপ। তার জন্য মন্তব্য করা কঠিন জানিয়ে পাপন বলেন
এই মুহূর্তে আমার জন্য বলা ভেরি ডিফিকাল্ট। নাজমুল হাসান পাপনের ব্যাখ্যা, ‘টিম কম্বিনেশনের ওপরও অনেক কিছ নির্ভর করে। কম্বিনেশনে ওরা (নির্বাচকরা) কী চিন্তা করছে, সেটা নিয়ে যতক্ষণ আমাকে না বলছে, তাহলে তো বুঝতে পারছি না।
মাহমুদউল্লাহ অবসর নিয়েও কথা উঠলো। প্রশ্ন করা হলো-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যদি মাঠ থেকে অবসর নিতে চান, বিসিবি কি তাকে সে সুযোগ করে দেবে?
বিসিবি প্রধানের জবাব, ‘ওকে এই সুযোগ (মাঠ থেকে অবসর), মিনিমাম রেসপেক্ট তো দেওয়া উচিত। রিয়াদের অবদানকে খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই।
সে বহু ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের। ইভেন মুশফিকও। মুশফিক অবসর নিয়েছে, আমাদের তো খারাপ লাগে। শেষ দিন পর্যন্ত বলে যাচ্ছি, মুশফিক আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান।
একেকটা ফরম্যাটে একেকজনের জায়গা হয় না টিম কম্বিনেশনের কারণে। সেটা ভিন্ন বিষয়। পাপন যোগ করেন, ‘ভবিষ্যৎ চিন্তা করলে হয়তো আমি দুই বছর পর অনেককে পাবো না। টিম তৈরি করতে চাচ্ছে, সেটাও ভিন্ন ইস্যু।
তবে ডেফিনেটলি প্লেয়াররা নিজের নিজের ডিক্লেয়ার না করে যদি আমাদেরকে সুযোগ দেয়, আমরা তাদেরকে রেসপেক্টফুললি বিদায় দেবো। সেটা যে কোনো ফরম্যাটে। সেই সুযোগটা তারা যেন আমাদেরকে দেয়।