টেকনিক্যাল স্টাডি গ্রুপের সম্মেলনে শেষ সাংবাদিকদের জটলা নাইজেরিয়ার সানডে ওলিসেসকে নিয়ে। আফ্রিকা মহাদেশের মরক্কো কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। বেলজিয়াম, কাতার,
পর্তুগালকে বিদায় করে আফ্রিকান-আরব দেশটি বিস্ময়ের জন্ম দিয়েছে। তাই সেই মহাদেশের সাবেক তারকা ফুটবলার সানডের কাছে সাংবাদিকদের রাজ্যের জিজ্ঞাসা। সম্মেলনে টেকনিক্যাল-ট্যাকটিক্যাল অনেক ব্যাখ্যাই তিনি দিয়েছেন মরক্কোর এই উত্থান নিয়ে।
সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের ব্যক্তিগত আলোচনায় তিনি এক চমকপ্রদ পর্যবেক্ষণের কথাও ব্যক্ত করেছেন,‘আফ্রিকা ও আরব দেশের ফুটবলাররা মায়ের প্রতি খুবই অনুগত। মরক্কোর ম্যাচগুলোতে মায়েরা মাঠে উপস্থিত থাকে।
মায়েদের অনুপ্রেরণা ফুটবলাররা মাঠে প্রতিফলন করেন। পারফরম্যান্স ভালো হওয়ার পেছনে এটাও একটা অর্ন্তনিহিত কারণ।সানডে নাইজেরিয়ান হলেও তার স্ত্রী মরক্কান। সন্তানরাও মরক্কোতে বেড়ে উঠেছে।
মরক্কোর এই সাফল্যে তাই একটু বাড়তি উৎফুল্লতা তার মধ্যে, ‘আফ্রিকার দেশগুলোর সক্ষমতা রয়েছে সেটা মরক্কো এই বিশ্বকাপের মাধ্যমে তুলে ধরেছে। ফুটবল যে বৈচিত্র্যময় এবং বৈশ্বিক এর উদাহরণ মরক্কোর সেমিতে খেলা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে শুধু ফুটবলারই খেলেন না, ডাগ আউট থেকেন খেলেন কোচরাও। রবার্তো মার্টিনেজ, লুইস এনরিকে, ফার্নান্দো সান্তোসদের মতো বড় নামী-দামী কোচরা বিদায় নিয়েছেন ওয়ালিদ রেগরাগুইয়ের কাছে।
মরক্কোর এই সাফল্যের পেছনে কোচের অবদান দিচ্ছেন সানডে, ‘আসলেই সে দারুণ করছে। বিশ্বকাপের মাত্র তিন মাস আগে দায়িত্ব নিয়েছে। তিন মাসের মধ্যে পুরো দলকে এক সুতোয় গেথেছেন। মরক্কোকান হিসেবে তার সকল খেলোয়াড়ই চেনা।’