শুরুটা ছিল খুবই বাজে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে টানা দুই ওভার কোনো রানই নিতে পারেনি। তৃতীয় ওভারের শুরুতেই উইকেট। আউট হলেন ব্রেন্ডন কিং। এরপর কাইল মায়ার্সও খুব সংগ্রাম করে আউট হয়ে গেছেন।
১৫ বল খেলে তিনি করেছেন মাত্র ২ রান। কিন্তু এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় ক্যারিবীয়রা। জনসন চার্লস, অধিনায়ক সাই হোপ, নিকোলাস পুরান, রস্টোন চেজ এবং জেসন হোল্ডারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের ওপর ভর করে যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৯ রানের ব্যবধানে
হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে দারুণ সূচনা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাটিংয়ে কিছুটা কষ্ট করতে হলেও ৪৯.৩ ওভারে ২৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাব দিতে নেমে অলআউট হয়নি যুক্তরাষ্ট্র।
গজানন্দ সিংয়ের অপরাজিত দুর্দান্ত সেঞ্চুরি সত্ত্বেও ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শুরুতে বিপদে পড়লেও হাল ধরেন জনসন চার্লস। ১৪ রানে ২ উইকেট পড়ার পর চার্লস এবং সাই হোপ
মিলে ১১৫ রানের বিশাল জুটি গড়ে তোলেন। এর মধ্যে ৬০ বলে ৫৪ রান করে আউট সাই হোপ। ৮০ বলে ৬৬ রান করেন জনসন চার্লস। এই জুটির গড়ে দেয়া সাহসের পর ঝোড়ো ব্যাটিং করেন নিকোলাস পুরান, রস্টোন চেজ এবং জেসন হোল্ডার।
২৮ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন নিকোলাস পুরান। ২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। রোভম্যান পাওয়েল শূন্য রানে আউট হয়ে গেলেও ঝড় তোলেন জেসন হোল্ডার। ৪০ বলে ৫৬ রান করেন তিনি।
২টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন হোল্ডার। শেষ পর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ২৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে সৌরভ নেত্রভলকার, কাইল ফিলিপ এবং স্টিভেন টেলর ৩টি করে উইকেট নেন।
১ উইকেট নেন নস্তুস কেঞ্জিং নেন ১ উইকেট। জবাব দিতে নেমে মিডল অর্ডারে ১০৯ রানে ১০১ রানে গজানন্দ সিং অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান সংগ্রহ করেন সায়ান জাহাঙ্গীর।
৩২ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন নস্তুস কেনজিং। অ্যারোন জোন্স ৩০ বলে ২৩ রান করেন। ১৮ রান করেন ওপেনার স্টিভেন টেলর। ১৪ রান করেন সুশান্ত মদানি।