বেয়ারেস্টো ১২০ বছরের রেকর্ড ভাঙ্গা হলো। টেস্টের পঞ্চম দিন, চতুর্থ ইনিংস। জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়ালো ২৯৯ রান। হাতে আছে দিনের ৭৫টি ওভার।
এমন পরিস্থিতিতে যে কোনো দলই চিন্তা করবে, কিভাবে ম্যাচটি ড্র করা যায়। কারণ শেষ দিন টেস্টের উইকেট থাকে বোলারদের দখলে। খুবই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে ব্যাটারদের জন্য।
সুতরাং, সাধারণ প্রতিটি দলই চিন্তা করে উইকেট ধরে রেখে ম্যাচটি আগে বাঁচাই।
কারণ, জয়ের চিন্তা করে ঝুঁকি নিতে গেলেই ঘটতে পারে মহা বিপদ। এমনকি যে কোনো একটি স্পেলেই প্রতিপক্ষকে ধ্বংস করে দিতে পারেন যে কোনো প্রতিষ্ঠিত বোলার।
কিন্তু বেন স্টোকসের নেতৃত্বাধীন এই ইংল্যান্ড যেন একটু ব্যতিক্রম। ভিন্ন মন-মানসিকতা নিয়েই টেস্ট ক্রিকেটে নিজের নেতৃত্বের পথচলাটা শুরু করেছেন স্টোকস।
সে কারণেই হয়তো ২৯৯ রান তাড়া করতে ৫০ ওভারের বেশি লাগালেন না তিনি। স্টোকসের দল দুর্দান্ত জয়ই উপহার দিয়েছে ইংল্যান্ডকে। যেখানে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করেছেন জনি বেয়ারেস্টো।
শুধু তাই নয়, এই সেঞ্চুরি করতে গিয়ে ১২০ বছর আগের অসাধারণ একটি রেকর্ডও স্পর্শ করে ফেলছিলেন প্রায় তিনি। ৯২ বল খেলে ১৩৬ রান করে আউট হন বেয়ারেস্টো।
সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি মাত্র ৭৭ বলে। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড হলো এটি। ১৯০২ সালে দ্য ওভালে বেয়ারেস্টোরই দেশের আরেক ব্যাটার গিলবার্ট জেসোফ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাত্র ৭৬ বলে চতুর্থ ইনিংসের দ্রুততম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন।
ওই ম্যাচে ইংল্যান্ড জয় পেয়েছিল ১ উইকেটের ব্যবধানে। বেয়ারেস্টো এই মাইলফলকে পৌঁছাতে একটি বল বেশি খেলে ফেলেছেন। না হয়, ১২০ বছর আগের রেকর্ডটিকে বদলে দিতে পারতেন তিনি।
কিন্তু অল্পের জন্য পারলেন না। গিলবার্ট জেসোফ হয়তো স্বর্গে বসে বেয়ারেস্টোকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন, ১২০ বছর পর হলেও ইতিহাসের পাতা থেকে তার নামটি মুছে না দেয়ার জন্য।