Breaking News

বাংলাদেশের উইকেট নিয়ে আমরা মোটেও চিন্তিত নই: ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার

বাংলাদেশে খেলতে আসলে প্রতিটি দলেরই শঙ্কার বিষয় থাকে এখানকার কন্ডিশন এবং উইকেট। বাংলাদেশের স্লো এবং লো উইকেটে স্পিনাররা খুব কার্যকরী। যে কারণে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষের জন্য খুব কঠিন প্রতিপক্ষ।

কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে বাংলাদেশের অবস্থান কেমন? তারা কী চোখে দেখে বাংলাদেশকে? বিশেষ করে, ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি- এই দুই ফরম্যাটে একইসঙ্গে তারা যখন ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন।

শুধু তাই নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিচ্ছেন তারা। দলীয় স্কোরকে (ওয়ানডেতে) এখন প্রায়ই ৪০০’র গণ্ডি পার করিয়ে দিচ্ছে। সে ধরনের মানসিকতা নিয়েও কী এবার বাংলাদেশ সফরে এসেছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল?

২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসার পর আজই প্রথম সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হলেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে হয়তো ৪০০ কিংবা এর বেশি রান করা সম্ভব হবে না।

তবে, কন্ডিশন তথা পরিস্থিতি অনুযায়ী তারা খেলার চেষ্টা করবেন। এখানকার উইকেট নিয়েও তারা খুব বেশি চিন্তিত নন বলেও জানান বাটলার। দুপু্রে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাটলারের কাছে বারবার একই প্রশ্ন উঠেছে যে,

ইংল্যান্ড তো আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলে। বাংলাদেশের স্লো উইকেটে এই আক্রমণাত্ম ক্রিকেট কতটা খেলতে পারবে? এখানে কী ধরনের উইকেট, কন্ডিশন আশা করেন তিনি?

জবাবে বাটলার খুব ঠাণ্ডা মাথায় উত্তর দিলেন, ‘আমরা জানি বাংলাদেশে স্লো অ্যান্ড লো ট্র্যাকই হয়। আমরা এটা ধরে নিয়েই এগুতে চাই। এবং আমরা এটাও জানি যে বাংলাদেশ তাদের কন্ডিশনে বেশ ভালো এবং কঠিন দল।

এটাও জানি যে, সব উইকেটে ৪০০ রান করা সম্ভব নয়। তবে আমরা কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিয়ে আমাদের পজিটিভ এবং অ্যটাকিং ক্রিকটটাই খেলার চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশের স্লো এবং লো উইকেটে তো অ্যাটকিং খেলা সম্ভব হবে না। এ প্রসঙ্গে বাটলার বলেন, ‘পরিস্থিতি যেমন ডিমান্ড করবে সেটাই অ্যাডজাস্ট করে খেলার চেষ্টা করবো। ৪০০ রান তো সব সময় সম্ভব নয়।

আমরা চেষ্টা করবো সর্বোচ্চটা দিয়ে খেলতে।’ বাংলাদেশের স্লো এবং লো ট্র্যাকে শুধু স্বাগতিক স্পিনাররা সুবিধা পাবে তা নয়, ইংল্যান্ডও সে প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। তাদের দলে দুই লেগ স্পিনার রয়েছেন রেহান আহমেদ ও আদিল রশিদ।

জস বাটলার তাই বোলিং শক্তি নিয়ে খুব উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাই কোয়ালিটি দু’জন লেগ স্পিনার রয়েছে। রয়েছেন গতির বোলার। দুই পেসার জোফরা আরচার এবং স্যাম কারান।

দু’জনই আমাদের আস্থার জায়গা। আমাদের বোলিংয়ের ভারসাম্য খুবই ভালো। স্পিন এবং পেস অ্যাটাক- দুই বিভাগেই ভারসাম্য রয়েছে। সুতরাং, উইকেট যেমনই হোক আমরা খুব বেশি চিন্তিত না।

বাটলার জানালেন, এখানকার সে কন্ডিশন এবং বাংলাদেশ দলকে মেপে, হিসাব-নিকাশ করেই তারা ঢাকায় এসেছে। সে হিসেবেই দল সাজিয়েছে এবং মাঠেও তারা সেরাটা দিয়েই খেলার চেষ্টা করবে ভালো খেলার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *