Breaking News

ফাইনাল হেরেও আইপিএল সেরা শুভমান, বাকিরা কে কী পুরস্কার পেলেন?

শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে শেষ বলে এসে গুজরাট টাইটান্সকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো চেন্নাই সুপার কিংস। ৫ম বারের মত আইপিএলের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে তুলে নিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তবে, চেন্নাইর কাছে হেরে গেলেও আইপিএলের সেরা

ক্রিকেটারের পুরস্কার উঠলো গুজরাট টাইটান্সের তরুণ ব্যাটার শুভমান গিলের হাতে। ৫ম চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর চেন্নাই সুপার কিংস সোনালি ট্রফিটার সঙ্গে নগদ অর্থ পুরস্কার হিসেবে পেয়েছে ২০ কোটি রুপি।

রানার্সআপ গুজরাট টাইটান্স পেয়েছে ১২ কোটি ৫০ লক্ষ রুপি। এছাড়া বেশ কিছু ব্যক্তিগত পুরস্কারও দেওয়া হয়েছে ফাইনাল শেষে। সেই ব্যক্তিগত পুরস্কারের মধ্যে সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস হচ্ছে, টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার।

ফাইনালে হেরেও সেই পুরস্কারের মালিক হলেন শুভমান গিল। শুধু তাই নয়, গিল একাই চারটি পুরস্কার ভাগিয়ে নিয়েছেন। ব্যক্তিগত পুরস্কারের তালিকায় মোহাম্মদ শামি, জশস্বি জসওয়ালরাও রয়েছেন।

সর্বোচ্চ রান করে আইপিএলের কমলা টুপি (অরেঞ্জ ক্যাপ) পেলেন শুভমান। এবারের প্রতিযোগিতায় ১৭ ম্যাচে ৮৯০ রান করেছেন তিনি। রান করেছেন ৫৯.৩৩ গড় ও ১৫৭.৮০ স্ট্রাইক রেটে। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি এবং চারটি হাফ সেঞ্চুরি।

এছাড়া এবারের আইপিএলে সব থেকে বেশি চারও মেরেছেন শুভমান। ৮৫টি চার মেরে সেই পুরস্কারও হাতে তুলে নিয়েছেন তিনি। এই মৌসুমের ‘গেম চেঞ্জারের’ পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। সে সঙ্গে প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে মূল্যবান ক্রিকেটারের

পুরস্কারও জিতেছেন গুজরাটের এই ব্যাটার। প্রতিটি পুরস্কারের জন্য ১০ লক্ষ রুপি করে মোট ৪০ লক্ষ রুপি পেয়েছেন তিনি। আইপিএলের বেগুনি টুপি (পার্পল ক্যাপ) পেয়েছেন গুজরাটের পেসার মোহাম্মদ শামি।

ভারতীয় জাতীয় দলের এই বোলার ১৭ ম্যাচে ২৮টি উইকেট নিয়েছেন। ইকনোমি রেট (ওভার প্রতি রান দেয়ার গড়) ৮.০৩ করে। নতুন বলে দলকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উইকেট এনে দিয়েছেন শামি। তিনিও পেয়েছেন ১০ লক্ষ রুপি।

এবারের আইপিএলের উঠতি প্রতিভা (ইমার্জিং খেলোয়াড়) হয়েছেন জশস্বি জসওয়াল। ১৪ ম্যাচে ৬২৫ রান করেছেন ভারতের এই তরুণ ক্রিকেটার। ভাল খেলায় ভারতের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল দলে সুযোগ পেয়েছেন জশস্বি।

তিনিও ১০ লক্ষ রুপি পেয়েছেন। এছাড়া আইপিএলের সবচেয়ে ভাল স্ট্রাইক রেটের পুরস্কার পেয়েছেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। পুরো প্রতিযোগিতায় ১৮৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি।

সবচেয়ে বেশি ছক্কা মারার পুরস্কার পেয়েছেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফ্যাফ ডু-প্লেসি। টুর্নামেন্টে ১৪ ম্যাচে ৩৬টি ছক্কার মার মেরেছেন তিনি। এর মধ্যে লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ১১৫ মিটার লম্বা ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।

ম্যাক্সওয়েল ও ডুপ্লেসি দু’জনই ১০ লক্ষ রুপি করে পেয়েছেন। প্রতিযোগিতার সেরা ক্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন গুজরাটের রশিদ খান। লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে তার ক্যাচ সেরা বিবেচিত হয়েছে। তিনিও ১০ লক্ষ রুপি পেয়েছেন।

এ বারের আইপিএলের ফেয়ার প্লে পুরস্কার পেয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস। সেরা মাঠ ও পিচের পুরস্কার পেয়েছে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্স ও মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *