দীর্ঘ দিন বিরতিই প্রভাব ফেলেছে ক্রিকেটে দাবি রাসেল ডমিঙ্গোর। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, শেখ মেহেদী হাসান ও নাসুম আহমেদ। বাংলাদেশের টি-২০ দলের গুরুত্বপূর্ণ চার ক্রিকেটার। দীর্ঘদিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলছেন তারা।
বেশ বড় বিরতিই পড়েছিল সাদা বলের দুই ফরম্যাট নির্ভর এসব ক্রিকেটারের। প্রথম তিন জন শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন গত মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ওয়ানডেতে। দলে থাকলেও ঐ সফরে ম্যাচ পাননি নাসুম।
বাঁহাতি এ স্পিনারের শেষ ম্যাচটা ছিল মার্চের শুরুতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন তারা।
ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টি-২০ তে খেলেছেন তারা। বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচে সুবিধা করতে পারেননি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ১৩ বলে ৮ রান, আফিফ শূন্য, মেহেদী ১ ও নাসুম অপরাজিত ৭ রান করেছেন।
অবশ্য বোলিং করার সুযোগই পায়নি বাংলাদেশ দল। টাইগারদের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিরতি অনেকের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলেছে| ঢাকায় ও ক্যারিবিয়ানে নেমে অনুশীলন করেছেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফরা।
তবে ম্যাচ অনুশীলনের ঘাটতি ছিল তাদের। গত শনিবার রাতে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচে ম্যাচ অনুশীলন হয়ে গেছে ক্রিকেটারদের, এমনটাই মনে করেন ডমিঙ্গো।
ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এই প্রোটিয়া কোচ বলেছেন, ‘আমাদের কয়েক জন ক্রিকেটারের একটু জড়তা ছিল কয়েক সপ্তাহ ধরে খেলার মধ্যে না থাকায়। আফিফ-রিয়াদের মতো কয়েক জন বেশ কিছুদিন ধরে ম্যাচে ছিল না, ঢাকায় অনুশীলন করছিল।
আজকে কিছুটা ম্যাচ অনুশীলন তাদের হয়েছে।’ তবে যত ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে, ক্রিকেটাররা ততই ছন্দে ফিরবেন। ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে রিয়াদ-আফিফের সবশেষ ম্যাচ ছিল সম্ভবত দক্ষিণ আফ্রিকায়, সেটা মাস দুয়েক আগে।
সিরিজ যত এগোবে, তারা আরও ভালো হয়ে উঠবে। শনিবার রাতে উইন্ডসর পার্কের পুনরাভিষেক ম্লান করে দিয়েছে বৃষ্টি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ম্যাচটা প্রথমে ১৬ ওভার, পরে ১৪ ওভারে নেমে আসে।
বাংলাদেশ ১৩ ওভারে ৮ উইকেটে ১০৫ রান তুলতেই নামে বৃষ্টি। পরে আরেক দফা বৃষ্টিতে ম্যাচটাই পরিত্যক্ত হয়ে যায়। দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতেও দেখা গেলো ব্যাটিংয়ে একই চিত্র ওপেনিংয়ে ব্যর্থতা। শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো পালা বাংলাদেশের।