জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে সাকিবের বেক্তিগত ব্যাটিং নিয়ে প্রশ্ন থেকেই জায়। জয়-পরাজয় খেলারই অংশ, কিন্তু জয়ের জন্য যে মানসিকতা থাকা দরকার, টাইগাররা কী সেটা দেখাতে পেরেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারের পড় এটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। টাইগারদের অ্যাপ্রোচ নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ১৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামা একটি দলের যে তারণা থাকা দরকার ছিল, সেটা দেখাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ।
সাকিব আল হাসানদের ব্যাটিং দেখে আদৌ মনে হয়নি বাংলাদেশ জয়ের তাগিদে খেলছে। টাইগারদের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে জয়-পরাজয়ের বাইরে ‘সম্মানজনক হার’ বলে কোন টার্ম আছে!
বড় স্কোর তাড়ায় ২৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বিশ্বাসটাই হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ম্যাচ হারে টাইগারদের দুর্বল মানসিকতাই ফুটে উঠেছে।
ইনিংসের প্রায় পুরোটা সময় উইকেটে থাকা সাকিব এক মুহূর্তের জন্যও দলের জেতার সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেননি। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ওয়ানডের স্টাইলে। ফিফটি করলেন ৪৫ বলে!
ফিফটির পর যখন তেড়েফুড়ে কিছু মারতে লাগলেন ততক্ষণে ম্যাচের কোনো সমীকরণেই নেই বাংলাদেশ। ১৭তম ওভারে একপর্যায়ে সাকিবের রান ছিল ৩৭ বলে ৩৫।
৪৫ বলে তিনি যখন ফিফটি স্পর্শ করেন তখন চলছে ১৯তম ওভারের খেলা। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের চাই ১১ বলে ৬২ রান! তখন প্রতি বলে ওভার বাউন্ডারি ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ইনিংসের শেষদিকে সাকিব কিছু বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্ট্রাইকরেট বাড়ালেও ম্যাচ জেতার জায়গায় যেতে তাকে ১০ ওভারের পর থেকেই আক্রমণে যাওয়া উচিত ছিল।
অথচ তখন তিনি খেলেছেন এক-দুই নিয়ে। ৫২ বলে অপরাজিত ৬৮ রান করে টি-টোয়েন্টিতে সবার আগে ২ হাজার রানের পাশাপাশি ১০০ উইকেটের মালিক হলেন সাকিব। তার ব্যক্তিগত অর্জনের পাতা ভারি হলেও বাংলাদেশ পেল আরেকটি হার।
বাকি আর এক ম্যাচে তাকিয়ে থাকতে হবে বাংলাদেশের সিরিজ হার এরাতে। শেষ মাচে জয় তুলে নিতে পারলে ১-১ এ সমতায় হয়তো শেষ হবে টি-টুয়েন্টি সিরিজ। তায় বাংলাদেশের লক্ষ্য থাকবে শেষ ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো।