দারুণ সুসংবাদ পেলেন তাসকিন-সাকিব। এশিয়া কাপে বাংলাদেশ কোনোরকম প্রত্যাশা ছাড়াই গিয়েছিল। তবে তাই বলে প্রথম রাউন্ড থেকেই খালি হাতে বিদায় নিতে হবে, তা ভাবেনি কেউ। এবারের এশিয়া কাপে সেই ভুলে যাওয়া বিস্বাদটাই পেয়েছে বাংলাদেশ।
তবে ব্যক্তি পর্যায়ে বেশ কিছু পারফর্ম্যান্স বিশ্বকাপকে সামনে রেখে আশা দেখিয়েছে বাংলাদেশকে। ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ লড়েছেন বেশ, বল হাতে পারফর্ম করেছেন তাসকিন আহমেদ।
এশিয়া কাপে ভুলে যাওয়ার মতো পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পরও তাই সাকিব তাসকিনরা দারুণ সুসংবাদই পেয়েছেন। এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ মুখোমুখি হয় শ্রীলঙ্কার।
সেই ম্যাচে আফিফ হোসেন খেলেন দলের সর্বোচ্চ ৩৯ রানের ইনিংস। ২ ছক্কা আর ৪টি চারে তিনি এই ইনিংস খেলেন মাত্র ২২ বলে। যদিও শেষমেশ ২ উইকেটে হারের ফলে ঢাকা পড়ে গেছে তার সেই অনবদ্য পারফর্ম্যান্স।
তবে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে এই ইনিংসের ছাপ পড়েছে ঠিকই। ৭ ধাপ এগিয়ে তিনি চলে এসেছেন ৫০তম অবস্থানে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ লঙ্কানদের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২২ বলে ২৭ রানের ইনিংস।
সেই সুবাদে তিনি এগিয়ে এসেছেন ২ ধাপ, তার অবস্থান ৩৬-এ। সেই ম্যাচে ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলে সাকিব এগিয়েছেন ১ ধাপ, তিনি আছেন ৬৭তম স্থানে। সেই ম্যাচে মেহেদি হাসান মিরাজ ওপেন করেছিলেন বাংলাদেশ ইনিংসের।
২৬ বলে ৩৮ রানের ইনিংস খেলে তিনি দলকে এনে দিয়েছিলেন দারুণ এক শুরু। তবে এরপরও তিনি ঢুকতে পারেননি সেরা ১০০তে। সে ম্যাচে ৯ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলা মোসাদ্দেক হোসেনও নেই সেরা ১০০-তে।
বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি করেছেন বেশ কয়েকজন। ১ উইকেট নিয়ে মুস্তাফিজের উন্নতি হয়েছে ২ ধাপ, বর্তমানে তার অবস্থান ২৯। বিশাল লাফ দিয়েছেন তাসকিন আহমেদ। ২৪ রানে ২ উইকেট শিকার করে তিনি এগিয়েছেন ২৮ ধাপ।
বর্তমানে তিনি আছেন যৌথভাবে ৭২তম স্থানে। এছাড়া শেখ মেহেদি হাসান বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বোলারদের ভেতর আছেন সেরা অবস্থানে, তার অবস্থান ১৬তম। তার চেয়ে তিন ধাপ পেছনে আছেন সাকিব।