আজ থেকে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ আমেজ। বেলা ফুরালেই মাঠে নামছে বাংলাদেশ। আরব সাগর পাড়ে তাদেরই বিপক্ষে খেলতে নামছে টাইগাররা। জয় পরাজয় ছাপিয়ে লক্ষ্য প্রস্তুতি যেন হয় সেরা।
তাছাড়া অভিজ্ঞতার খোলস বদলে ফেলা তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের আনুষ্ঠানিক যাত্রাও শুরু হবে এই ম্যাচ দিয়ে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু রাত ৮টায়।
এর আগে টি-টোয়েন্টিতে একবারই আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ দল। ২০১৬ এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় লাভ করে ৫১ রানে।
আগে ব্যাট করে মোহাম্মদ মিথুনের ৪৭ আর মাহমুদউল্লাহর অপরাজিত ৩৬ রানে ২০ ওভারে মাত্র ১৩৩ রান সংগ্রহ করতে পারে বাংলাদেশ। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৮২ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
বল হাতেও দুই উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা ক্রিকেটার ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সেদিন থেকে ৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে আরব আমিরাতের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ।
তবে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নিতে ও দলের কম্বিনেশন সাজাতে এই সিরিজটাকে বেশ গুরুত্বের সাথেই নিয়েছেন অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আরব আমিরাতকে ছোট দল ভাবতে নারাজ তিনি।
বলেন, ক্রিকেটে ছোটদল-বড়দল বলতে কিছু নেই। যেহেতু আমরা একটা প্রসেসে আছি, এই ম্যাচগুলো থেকে অনুপ্রেরণা নিতে চাই। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতিতে একাদশ কেমন হতে পারে, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল সোহানের কাছে।
উত্তর তিনি এড়িয়ে গেলেন কৌশলে। সোহান এড়িয়ে গেলেও দলের অনুশীলনই বলে দিচ্ছে পরিকল্পনা আর পজিশন। দুদিন যাবত যে কৌশলে অনুশীলন করছেন ক্রিকেটাররা তার একটা রূপ দাঁড় করিয়ে সাজিয়ে ফেলা যায় দলটাকে। সাব্বির-মিরাজে শুরু।
তিনে লিটন দাস। চার-পাঁচ-ছয় হলো আফিফ, মোসাদ্দেক, ইয়াসির রাব্বি। সাত নাম্বারে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান, আট নাম্বারে খেলার সম্ভাবনা সাইফুদ্দীনের। নয় ও দশে তাসকিন, মুস্তাফিজ। এগারো নাম্বারে একমাত্র স্পিনার হিসেবে খেলতে পারেন নাসুম আহমেদ।