Breaking News

ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিং তবুও ইংল্যান্ডের ৩৬৪

একটা সময় মনে হচ্ছিল, অনায়াসে চারশ পার হয়ে যাবে ইংল্যান্ডের। তবে ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ইংলিশদের ওতটা রান তুলতে দেয়নি বাংলাদেশ। ৪০ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ২৯৮ ছিল ইংল্যান্ডের। টাইগারদের শেষের দিকে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শেষ

১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা তুলতে পেরেছে মোটে ৬৬। সবমিলিয়ে ৯ উইকেটে ৩৬৪ রানে থেমেছে ইংল্যান্ডের ইনিংস। ফলে জিততে হলে ৩৬৫ রানের কঠিন এক লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে বাংলাদেশকে।

ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। কোনো চমক নয়। দুই প্রান্ত দিয়ে পেস দিয়েই আক্রমণ শুরু করেন সাকিব।

মোস্তাফিজুর রহমান আর তাসকিন আহমেদ প্রথম ৪ ওভারে দেন ১৫ রান। তবে পঞ্চম ওভার এসে হাত খুলেন ডেভিড মালান। টানা দুই বলে মোস্তাফিজকে চার আর ছক্কা হাঁকিয়ে রান বাড়িয়ে নেন এই ওপেনার।

মোস্তাফিজকে তার পরের ওভারে ফের টানা দুই বলে ছক্কা আর চার হাঁকান মালান। তার সঙ্গে তাল মেলাতে চেষ্টা করেন আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টোও। ফলে ৪৯ বলেই জুটিতে ফিফটি পূরণ করে ফেলেন তারা। ১০০ ছুঁতে লাগে ৯৩ বল।

৩৯ বলে ফিফটি পূরণ করেন মালান। বেয়ারস্টো ছিলেন তার তুলনায় একটু ধীরগতির। তার পঞ্চাশ ছুঁতে লাগে ৫৪ বল। কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। অবশেষে ইনিংসের ১৮তম ওভারে ওপেনিং জুটিটি ভাঙেন সাকিব।

৫৯ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ৫২ রান করা বেয়ারস্টোকে দারুণ এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন টাইগার অধিনায়ক। ১১৫ রানে আসে ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি থেকে। তবে দ্বিতীয় উইকেটে আরেকটি বড় জুটি গড়ে ফেলে ইংলিশরা।

১১৭ বলেই ১৫১ রান তুলে ফেলেন জো রুট আর মালান। ৯৩ বলে সেঞ্চুরি করেন মালান। অবশেষে মালানকে বোল্ড করে এই জুটিটি ভাঙেন শেখ মেহেদি। ১০৭ বলে ১৪০ রান। ১৬ চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কা।

ডেভিড মালানের ক্যারিয়ারে এমন দিন আর আসেনি। বাংলাদেশকে পেয়ে নিজের ক্যারিয়ারসেরা ওয়ানডে ইনিংসটাই খেলে ফেললেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এর আগে তার সেরা ইনিংস ছিল ১৩৪ রানের।

এরপর ৩৯তম ওভারে শরিফুল ইসলাম তুলে নেন জস বাটলারকে। ইনসাইডেজ হয়ে স্টাম্প হারানোর আগে ১০ বলেই ২০ রানের ছোট এক ঝড় তুলে দিয়ে যান ইংলিশ অধিনায়ক। নিজের পরের ওভারে এসে হ্যাটট্রিকের সুযোগও তৈরি করেন শরিফুল।

পরপর দুই বলে তিনি সাজঘরে ফেরান জো রুট আর লিয়াম লিভিংস্টোনকে। রুট চালিয়ে খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন আকাশে, মুশফিক সহজেই গ্লাভসবন্দী করেন সে ক্যাচ। ৬৮ বলে ৮২ রানের ইনিংসে ৮টি চার আর

একটি ছক্কা হাঁকান ইংলিশ এই তারকা ব্যাটার। ৪২তম ওভারের শেষ দুই বলে দুই উইকেট। শরিফুল ইসলামের সুযোগ ছিল নিজের পরের ওভারে এসে হ্যাটট্রিক করার। হলো না।আরও একবার টানা দুই বলে দুই উইকেট

নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাঁহাতি এই পেসারকে। ৪৪তম ওভারের প্রথম বলটি স্লোয়ার করেছিলেন শরিফুল, স্যাম কারান লেগ সাইডে ঠেলে দিয়ে তুলে নেন দুই রান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *