চলমান পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) একের পর এক বড় স্কোরের ম্যাচের দেখা মিলছে। যা রীতিমত ক্রিকেট ভক্তদের চমকে দিচ্ছে। শনিবার (১১ মার্চ) রাওয়ালপিণ্ডিতে টুর্নামেন্টের ১১তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় কোয়েটা গ্লাডিয়েটরস ও মুলতান সুলতান।
ম্যাচটিতে গড়েছে একের পর এক নতুন রেকর্ড। টুর্নামেন্টের ২৮তম ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে মুলতান মাত্র ৩ উইকেটে ২৬২ রান করে। জবাবে কোয়েটা নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে তুলে নেয় ২৫৩ রান।
মাত্র ৯ রানের জন্য মুলতানকে ছোঁয়া হয়নি কোয়েটার। পাঁচশতাধিক রানের এই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নতুন রেকর্ড গড়েছে। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এবারই প্রথম ৫১৫ রানের ম্যাচ হলো।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার পচেফস্ট্রুমে টাইটান্স ও নাইট রাইডার্সের ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ রান ছিল ৫০১। একই সঙ্গে চার-ছক্বার রেকর্ডও ভেঙে চুরমার হয়েছে। ম্যাচটিতে ছক্কা হয়েছে ৩৩টি।
চার হয়েছে ৪৫টি। বাউন্ডারি থেকে রান এসেছে ৩৭৮। যা আগের থেকে ১৬ রান বেশি। ২০১৯ সালে জামাইকা তালাওয়াস ও ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের ম্যাচে ৩৬২ রান হয়েছিল বাউন্ডারি থেকে।
মুলতান-কোয়েটার রান উৎসবের ম্যাচের শুরুটা করেছিলেন উসমান খান। বিপিএল খেলে সেঞ্চুরি পাওয়া এ ব্যাটসম্যান এদিন মাত্র ৪৩ বলে ১২০ রান করেন। ৫০ করেছিলেন ২২ বলে। পরের ১৪ বলে পৌঁছে যান সেঞ্চুরি।
৩৬ বলে সেঞ্চুরি তুলে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছেন এ ব্যাটসম্যান। এর আগে ৪১ বলে সেঞ্চুরি ছিল রাইলি রুশোর। উসমানের ১২০ রানের ইনিংসে বাউন্ডারি থেকে আসে ১০২ রান আসে চার-ছক্কা থেকে (১২ চার ও ৯ ছক্কা)।
এরপর শুরু হয় মোহাম্মদ রিজওয়ান ও টিম ডেভিড। রিজওয়ান ২৯ বলে ৫৫ ও ডেভিড ২৫ বলে ৪৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। এছাড়া আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রুশো ৯ বলে ১৫ ও পোলার্ড ১৪ বলে ২৩ রান করেন।
২৬৩ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় কোয়েটার হয়ে কেউ ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। তবে দলের দাবি মিটিয়েছেন অনেকেই। ওপেনিংয়ে মার্টিন গাপটিল ১৪ বলে ৩৭ রান করেন। তিনে নেমে উমর ইউসুফ ৩৬ বলে ৬৭ রান করেন।
এছাড়া ইফেতেখার আহমেদ ৩১ বলে ৫৩, উমর আকমল ১০ বলে ২৮, নওয়াজ ৭ বলে ১৬ রান করেন। শেষ দিকে কাইস আহমেদ ও নভীন উল হক ৭ বলে ১৭ রানের দুটি ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধান সিঙ্গেল ডিজিটে নামান।
বোলিংয়ে মুলতানের হয়ে আগুন ঝরিয়েছেন পেসার আব্বাস আফ্রিদি। ৪৭ রানে ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে তার হাতেই।