Breaking News

ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে বাংলাদেশ সামর্থ্য প্রমাণের চ্যালেঞ্জে !

বাংলাদেশর সামনে সামর্থ্য প্রমাণের বড় চ্যালেঞ্জে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে। তখন মাত্রই বাংলাদেশ দলের হেড কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন স্টিভ রোডস। দল হিসেবে প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে গেলেন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে।

টাইগারদের ড্রেসিংরুমে হেড মাস্টার হিসেবে প্রথম দুই ঘণ্টা রীতিমতো বিভীষিকা, দুঃস্বপ্ন হয়ে ধরা দিয়েছিল রোডসের কাছে।কারণ ২০১৮ সালে জুলাইয়ে অ্যান্টিগায় প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ দল।যা টেস্টে টাইগারদের সর্বনিম্ন স্কোর।

অ্যান্টিগা টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে, জ্যামাইকার কিংস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে ১৬৬ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ দল।চার বছর পর আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যাচ্ছে টাইগাররা। গতকাল রাত পৌনে ৮টায় টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের প্রথম বহর দেশ ছেড়েছেন।

কাকতালীয়ভাবে ২০১৮ সালের মতোই এবারও টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেবারও নেতৃত্বে এসে তার প্রথম সিরিজ ছিল ক্যারিবিয়ানে, দৃশ্যপটে পরিবর্তন নেই এবারও। ওই সফরে অবশ্য পরে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে স্বাগতিকদের হারিয়েছিল বাংলাদেশ দল।

তরুণ অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ বলেছেন, এবারের সফরে উইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে ভালো করতে চায় বাংলাদেশ। দুই টেস্টের প্রথমটি অ্যান্টিগায় ১৬ জুন ও সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্ট শুরু হবে ২৪ জুন।

ক্যারিবিয়ানে টেস্টে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করতে চায় বাংলাদেশ। গতকাল বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসপিএ) পুরস্কার বিতরণীতে মিরাজ বলেছেন, ‘যেহেতু তিনটা ফরম্যাটই আছে। শেষ বার টেস্টে আমরা ওরকম ভালো করতে পারিনি, এবার আমরা চেষ্টা করব, যেহেতু সাকিব ভাই আছে, উনি ভালো পারফর্ম করছে।

আমাদের ব্যাটারদের যে খারাপ সময়টা চলছে, আশা করি দ্রুতই সেটা কাটিয়ে উঠবে। সীমিত ওভারের দুই ফরম্যাটে সংগ্রাম করলেও টেস্টে ঘরের মাঠে ক্যারিবিয়ানদের দাপট স্পষ্ট। সেদিক থেকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে টাইগারদের। কারণ এক ঝাঁক ফাস্ট বোলার লেলিয়ে দেবে উইন্ডিজরা, উইকেটেও হবে পেস-বাউন্সি।

অতীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে খেলার অভিজ্ঞতা এবার কাজে লাগাতে চান মিরাজ। তিনি বলেছেন, ‘প্রত্যেকটা সিরিজই কিন্তু চ্যালেঞ্জের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি দেশে খেলেন বা বাইরে, প্রতিটা ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ। সব ম্যাচেই অনেক ফোকাসড থাকে প্রতিটা খেলোয়াড়।

দেশে খেললেই যে আমরা জিতে যাব, এরকম না। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, ভালো খেলেই আমাদের জিততে হবে। যেহেতু ওয়েস্ট ইন্ডিজে এর আগেও আমরা খেলেছি, অবশ্যই আমাদের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

মূলত অফ স্পিনার হলেও ব্যাটিংয়ে লোয়ার অর্ডারে নেমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ রয়েছে মিরাজের। দলও তার কাছে ব্যাটিংয়ে রান চায়। সেই লক্ষ্যেই প্রস্ত্ততি নিচ্ছেন এ তরুণ অলরাউন্ডার।

তিনি বলেছেন, ‘ব্যাটিংটা আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, আমার চেয়ে দলের জন্য আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি যেখানে ব্যাট করি, আমার জন্য ৫০ রান বা ১০০ রানের জুটি অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে। আমি এটা চিন্তা করেছি, কাজ করেছি কোচের সঙ্গে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *