Breaking News

উমর আকমলের বিধ্বংসী ইনিংসও ব্যর্থ, কোয়েটাকে হারিয়ে প্লে-অফে ইসলামাবাদ

দুটি হাফ সেঞ্চুরি করলেন মোহাম্মদ নওয়াজ এবং নজিবুল্লাহ জাদরান; কিন্তু কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের ইনিংসের শেষ দিকে এসে সব আলো একাই কেড়ে নিলেন উমর আকমল। একসময় মারকুটে ব্যাটার হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি।

এবারও সেই মারমুখি ব্যাটিংই করলেন। মাত্র ১৪ বল খেলে করলেন অপরাজিত ৪৩ রান। উমর আকমলের এই মারমুখি ব্যাটিংয়ে পিএসএলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্স স্কোরবোর্ডে রান তোলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৯।

কিন্তু উমর আকমলের এই বিধ্বংসী ইনিংসও ব্যর্থ হলো। কলিন মুনরোর হাফ সেঞ্চুরি, আজম খান এবং ফাহিম আশরাফের দুটি মাঝারিমানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৩ বল হাতেরেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইসলামাবাদ।

শুধু তাই নয়, কোয়েট গ্ল্যাডিয়েটসর্কে হারিয়ে লাহোর কালান্দার্সের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলেছে শাদাব খানের দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেডও।

রাওয়ালপিন্ডিতে পিএসএলের ২১তম ম্যাচে টস জিতে ইসলামাবাদ শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় কোয়েটাকে। ইনিংসের একেবারে শুরুতেই পরপর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় গ্ল্যাডিয়েটর্স।

কোয়েটা একসময় মাত্র ১৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। পরপর সাজঘরে ফেরেন উইল স্মিড (০), ইয়াসির খান (৫), অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ (৩) ও ইফতিকার আহমেদ (২)।

সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও নাজিবউল্লাহ জাদরান। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে দু’জনে যোগ করেন ১০৪ রান। ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূরণ করেন উভয় ব্যাটার। শেষে নওয়াজ ৪৪ বলে ৫২ রান করে আউট হন।

তিনি ৬টি চার মারেন। নাজিবউল্লাহ মাঠ ছাড়েন ৩৪ বলে ৫৯ রান করেন। আগ্রাসী ইনিংসে তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। শেষদিকে মাঠে নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন উমর আকমল।

তিনি মাত্র ১৪ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারকাটারি ইনিংসে আকমল ২টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ৪ রান করে নট-আউট থাকেন ওডেন স্মিথ। কোয়েটা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৯ রান তোলে।

ইসলামাবাদের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন আফগান পেসার ফজল হক ফারুকি, যাকে ক’দিন পরেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদের জার্সিতে আইপিএলে মাঠে নামতে দেখা যাবে।

এছাড়া ২৯ রানে ২টি উইকেট নেন ফহিম আশরাফ। জবাব দিতে নেমে ইসলামাবাদ ১৯.৩ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। কলিন মুনরো ২৯ বলে ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন।

তিনি ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। এছাড়া আজম খান ৩৫ ও ফহিম আশরাফ অপরাজিত ৩৯ রান করেন। অ্যালেক্স হেলস ১২ রান করেন। রানের খাতা খুলতে পারেননি রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ক্যাপ্টেন শাহব খান আউট হন ৮ রান করে।

উমেদ আসিফ ৩৭ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন। ১৭ রানে ২টি উইকেট নেন মোহাম্মদ নওয়াজ। নাসিম শাহ, নাভিন উল হক ও ইফতিকার আহমেদ নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। দুরন্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ফজল হক ফারুকি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *