Breaking News

ইতিহাস গড়ার হাতছানি নিয়ে স্পেনের মুখোমুখি হচ্ছে মরক্কো

নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে একবারই শেষ ষোলতে উঠেছিল মরক্কো, ১৯৮৬ সালে। তবে নকআউটে সেবার জার্মানির কাছে পাত্তা পায়নি আফ্রিকার দলটি। এরপর কেটে গেছে ২৬ বছর।

মাঝের কোনো বিশ্বকাপেই নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি তারা। কিন্তু এবার হিসাব ভিন্ন! বিশ্ব আসরে একের পর এক অঘটনের জন্ম দিয়ে শেষ ষোলতে আসা মরক্কো চমকে দিতে পারে যে কোনো প্রতিপক্ষকে।

এবারের বিশ্বকাপে শুরুটাই দুর্দান্ত হয়েছে মরক্কোর। গ্রুপে পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই গতবারের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়াকে রুখে দেয় তারা। দ্বিতীয় ম্যাচে তো আরও চমক, বেলজিয়ামের সোনালি প্রজন্মের দলকে হারিয়ে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দেয় আফ্রিকান ডার্ক হর্সরা।

দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে উজ্জীবিত দলটি কানাডাকে হারিয়ে হয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। এবার আরও বড় বাধা মরক্কোর সামনে। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন স্পেনের পরীক্ষা পার হতে হবে তাদের।

ইতিহাস গড়ার হাতছানির ম্যাচে মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় আল রায়ানের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে স্পেনের মুখোমুখি হচ্ছে মরক্কো। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে গাজী টেলিভিশন ও টি-স্পোর্টস।

এদিকে গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে হারানো স্পেন শুরুটা করেছিল উড়ন্ত। দ্বিতীয় ম্যাচেও খারাপ খেলেনি গাভি-তরেসরা। জার্মানির সঙ্গে ড্র করেছে তারা।

শেষ ম্যাচে জাপানের সঙ্গে জিতলে সুযোগ ছিল গ্রুপ সেরা হয়ে শেষ ষোলতে যাওয়ার। কিন্তু জাপানের কাছে হেরে মনোবলে বড় ধাক্কা নিয়ে নকআউটে আসে লুই এনরিকের দল।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে স্পেনের ভরসার নাম বার্সেলোনা ফরোয়ার্র গাভি এবং পেদ্রি। এছাড়া গোলমুখের সামনে ভয়ঙ্কর রূপে আছেন আলভারো মোরাতা। তিন ম্যাচেই জালের দেখা পেয়েছেন তিনি।

লুইস এনরিকের আস্থার প্রতিদান দিয়ে আরেকটি গোল করলে ডেভিড ভিয়ার পর দ্বিতীয় স্প্যানিশ হিসেবে টানা চার বিশ্বকাপ ম্যাচে গোলের কীর্তি গড়বেন তিনি।

বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত মোট তিনবার মাঠে নেমেছে স্পেন-মরক্কো। এই তিন লড়াইয়ে দুইবার জিতেছে স্পেন, বাকি একটি ড্র গত বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে। চতুর্থ লড়াইয়ে কার মুখে ফুটবে শেষ হাসি, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *