শুরু থেকে দারুণ ব্যাট করছিলেন। ভালো বল খেলছিলেন দেখেশুনে, খারাপ বল পেলেই পাঠাচ্ছিলেন সীমানার বাইরে। কিন্তু নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে নড়বড়ে হয়ে গেলেন অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়।
গ্রাহাম হুমের বলে বোল্ড হয়ে থামল তার ৮৫ বলে ৮ চার ২ ছক্কায় ৯২ রানের ইনিংস। ওয়ানডেতে এটাই কোনো ক্রিকেটারের অভিষেক ম্যাচের সর্বোচ্চ ইনিংস।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল (৩)। আরেক ওপেনার লিটন দাস উইকেটে সেট হয়ে গিয়েছিলেন।
দারুণ তিনটি শটও দেখা যায় তার ব্যাটে। তবে ব্যক্তিগত ২৬ রানে ক্যাম্ফারের বল বুঝতে না পেরে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তিনে নামা নাজমুল হোসেন শান্তও আজ বড় স্কোর গড়তে পারেননি।
৩৪ বলে ২৫ রান করে ম্যাকব্রেইনের বলে বোল্ড হয়ে যান। ৮১ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন সাকিব আল হাসান এবং অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়। ৬৫ বলে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। এরপর হাত খুলে মারতে থাকেন।
অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়ও ৫৫ বলে তুলে নেন ফিফটি। ৩৫তম ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ২০০ ছাড়ায়। সবাই যখন সাকিবের সেঞ্চুরির অপেক্ষা করছে, ঠিক তখনই ছন্দঃপতন। হুমের করা অফস্টাম্পের অনেক বাইরের
একটা বলকে জায়গায় দাঁড়িয়ে খোঁচা মারতে গিয়ে মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন সাকিব। তার ৮৯ বলে ৯৩ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি বাউন্ডারি। এরই সঙ্গে অবসান ঘটে তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গে তার ১২৫ বলে ১৩৫ রানের চতুর্থ উইকেট জুটির।
তৌহিদ হৃদয়ের সঙ্গী হন মুশফিক। ৬ বছর পর ছয়ে নামা মুশফিক শুরু থেকেই ছিলেন আগ্রাসী। তার ২৬ বলে ৩ চার ৩ ছক্কায় ৪৪ রানের ইনিংসটি থামে ক্যাচ গ্রাহাম হুমের বলে দিয়ে। একই ওভারে পঞ্চম বলে ফেরেন তৌহিদ হৃদয়।