প্রায় ১৬ বছর পর আয়োজিত হতে যাচ্ছে আফ্রো-এশিয়া কাপ যেখানে দেখা জেতে পারে একই দলে বাবর আজম ও কোহলিকে। বিশ্ব আসর বা বহুদলীয় টুর্নামেন্ট ছাড়া এখন আর মুখোমুখি হয় না ক্রিকেটের দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত ও পাকিস্তান।
সবশেষ ২০১২ সালে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছিল দুই দল। এরপর শুধু বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ এলে দেখা মেলে ভারত-পাকিস্তান হাইভোল্টেজ ম্যাচের।
অর্থাৎ দুই দলের লড়াই হয় কালেভদ্রে। সেখানে কি না সতীর্থ হয়ে খেলবেন ভারত-পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা। অবাক করার মতো হলেও সত্যি, একই দলে খেলতে দেখা যেতে পারে সময়ের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি ও বাবর আজমকে।
গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, প্রায় ১৬ বছর পর আবারও আয়োজন করা হবে আফ্রো-এশিয়া কাপ। যেখানে আফ্রিকা দলে খেলেন আফ্রিকা মহাদেশের ক্রিকেটার ও এশিয়া দলের হয়ে মাঠে নামেন এশিয়ান দলগুলোর খেলোয়াড়রা।
২০২৩ সালে হতে পারে এই আফ্রো-এশিয়া কাপ। ২০০৭ সালে সবশেষ হয়েছিল আফ্রো-এশিয়া কাপ। যেখানে এশিয়ার হয়ে খেলেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, মাশরাফি বিন মর্তুজা, মোহাম্মদ ইউসুফ, সনাত জয়াসুরিয়ার মতো তারকারা।
এর আগে ২০০৫ সালে একই দলে খেলেন শহিদ আফ্রিদি, রাহুল দ্রাবিড়রা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছর আবার হতে পারে এই আফ্রো-এশিয়া কাপ। এমনটাই জানিয়েছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) বিপণন ও অনুষ্ঠান প্রধান প্রভাকরণ থানরাজ।
আমেরিকান বাণিজ্যিক বিষয়ক ম্যাগাজিন ফোর্বসে এ কথা জানিয়েছেন থানরাজ। তবে এখন পর্যন্ত ক্রিকেট বোর্ডগুলো থেকে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি।
সেই নিশ্চয়তা পেলেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণার পাশাপাশি স্পন্সরশিপ ও ব্রডকাস্টিং নিয়ে আলোচনা শুরু করবে এসিসি। থানরাজের আশা, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বড়সড় এক আয়োজনই করবেন তারা।
থানরাজ বলেছেন, ‘আমরা ভারত ও পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডে প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আমাদের পরিকল্পনা হলো ভারত-পাকিস্তানের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দের এশিয়া একাদশে রাখা।
এটি চূড়ান্ত হলেই আমরা স্পন্সরশিপ ও ব্রডকাস্টিং নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করবো। এটি অনেক বড় আয়োজন হবে। একই আশা আফ্রিকান ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান সুমোদ দামোদারের, ‘খেলোয়াড়দের মাঝে সেতুবন্ধন তৈরি করে তাদের একই দলে খেলানোর সুযোগের অপেক্ষায় আছি।
আমি নিশ্চিত রাজনীতি দূরে সরিয়ে খেলোয়াড়রাও এটি চায়। ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের একই দলে খেলতে দেখা দারুণ বিষয় হবে।