ইতিহাস গড়তে ১১৯ রান প্রয়োজন ছিল ইংল্যান্ডের। ‘বাজ বলের’ বারোটা বাজাতে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৭ উইকেট। এজবাস্টন টেস্টের পঞ্চম দিনে মাত্র ঘণ্টা দেড়েক ব্যাটিং করেই সেই ১১৯ রান তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
জো রুট আর জনি বেয়ারস্টোর বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে এদিন আর কোনো উইকেট না হারিয়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে ইংলিশরা। ৭ উইকেটের জয় পাঁচ ম্যাচ সিরিজ শেষ হয়েছে ২-২ সমতায়।
ম্যাচ জিততে ইংল্যান্ডের সামনে পাহাড়সম ৩৭৮ রানের লক্ষ্য ঝুলিয়ে দিয়েছিল ভারত। অন্য যেকোনো দলের জন্যই এই লক্ষ্য তাড়া করা অসম্ভব প্রতীয়মান হওয়াই স্বাভাবিক, তবে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম-বেন স্টোকসের ইংল্যান্ডের ধাতই এখন অন্যরকম।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে অসম্ভবকে নিত্য সম্ভব করে চলেছে দলটি। জো রুট আর জনি বেয়ারেস্টোর ব্যাটে শেষ পর্যন্ত ইতিহাসটা গড়েই ফেললো ইংল্যান্ড।
বার্মিংহ্যামের এজবাস্টনে ৩৭৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ঠিকই ইংল্যান্ডকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়েছেন এই দুই ব্যাটার। দু’জনই করেছেন সেঞ্চুরি। জনি বেয়ারেস্টো তো অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করে যাচ্ছেন।
তিন টেস্টে এটা তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। টেস্টে ইংল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড গড়ে ভারতের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বেন স্টোকসরা।
এর আগে ২০১৯ সালে হেডিংলিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৫৮ তাড়া করে ৯ উইকেটে ৩৬২ তুলে জিতেছিল ইংল্যান্ড। সেটিই ছিল এতদিন তাদের ইতিহাসসেরা। ৭৪ বছরের মধ্যে ইংল্যান্ডের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ডও হলো আজ।
১৯৪৮ সালে হেডিংলিতে ৪০৪ তাড়া করে জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এটি এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়ার রেকর্ড।
সব মিলিয়ে এটি টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অষ্টম সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড। সে সঙ্গে ভারতের সঙ্গে ৫ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ড্র হলো ২-২ এ। গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছিল আগের চারটি ম্যাচ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত (প্রথম ইনিংস)- ৪১৬/১০ (৮৪.৫ ওভার) (পান্ত ১৪৬, জাদেজা ১০৪; অ্যান্ডারসন ৫/৬০, পটস ২/১০৫)।
ইংল্যান্ড (প্রথম ইনিংস)- ২৮৪/১০ (৬১.৩ ওভার) (বেয়ারস্টো ১০৬, বিলিংস ৩৬; সিরাজ ৪/৬৬, বুমরাহ ৩/৬৮)।
ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস)- ২৪৫/১০ (৮১.৫ ওভার) (পূজারা ৬৬, পান্ত ৫৭; স্টোকস ৪/৩৩)।
ইংল্যান্ড (দ্বিতীয় ইনিংস)- ৩৭৮/৩ (৭৬.৪ ওভার) (লক্ষ্য ৩৭৮ রান) (রুট ১৪২*, বেয়ারস্টো ১১৪*, লিস ৫৬; বুমরাহ ২/৭৪)।
ফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জনি বেয়ারেস্টো।