সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে ২৯১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। হারারেতে তামিম ইকবাল এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের হাফ সেঞ্চুরিতে এই লক্ষ্য দাঁড় করাতে পেরেছে সফরকারীরা।
এই ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। নিয়মিত ওপেনার লিটন দাস ইনজুরির কারণে না থাকায় নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবালের সঙ্গে মাঠে নামেন এনামুল হক বিজয়।
আগের ম্যাচে তামিমের খেলা ডট বলগুলো বাংলাদেশের জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই ম্যাচে তাই শুরু থেকেই বাড়তি সতর্ক হতে দেখা যায় তামিমকে।
ম্যাচের প্রথম ওভারে ব্র্যাড ইভান্সকে দুটি চার মেরে শুরু করেন তিনি। পরের ওভারে ভিক্টর এনাউচিকে আরও একটি চার মারেন তামিম। বাঁহাতি এই ওপেনার নিজেকে আরও মেলে ধরেন ইভান্সের তৃতীয় ওভারে।
সেই ওভারে তাকে দুটি চার ও শেষ বলে একটি ছক্কাও হাঁকান। পঞ্চাশ ওভারের ইনিংসে ডট হয়েছে প্রায় ২৫ ওভার। অর্থাৎ নিজেরা ব্যাট থেকে রান তুলেছে ২৫ ওভারে।
যেখানে ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ড ২৯০ রানের সংগ্রহ পেয়েছে অধিনায়ক তামিম ইকবালের দল। এই রানের মধ্যে ২৯টি চার ও ৪ ছয়ে বাউন্ডারি থেকেই এসেছে ১৪০ রান।
ব্যাটসম্যানদের এমন ধীরগতিসম্পন্ন ব্যাটিংয়ের কারণে স্কোর বোর্ডে বিশাল সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ দল। আগের ম্যাচে একই ভেন্যুতে অর্থাৎ হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে যেখানে ৩০৪ রানের লক্ষ্য দিয়েও ১৫-২০ রান কম হওয়ার আক্ষেপে পুড়ে ম্যাচ।
হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা, সেখানে এবার ২৯১ রানের টার্গেট দিয়ে সিরিজ বাঁচানোর কাজটি একেবারে সহজ হবে না।তার দৃঢ়তায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশও পেলো দারুণ এক চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯০ রান করেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৮৪ বল খেলে অপরাজিত ছিলেন ৮০ রানে।
হাফ সেঞ্চুরি করেছেন ওপেনার এবং অধিনায়ক তামিম ইকবালও। ৪৫ বলে ৫০ রান করে আউট হন তিনি। ৪১ বলে ৪১ রান করেন আফিফ হোসেন ধ্রুব এবং ৩৮ রান করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।