অবশেষে ভারতীয় ক্রিকেটারদের বিদেশি লিগ খেলার অনুমতি দিচ্ছে বিসিসিআই। অবশেষে নিজেদের ক্রিকেটারদের ভিনদেশি লিগে খেলার অনুমতি দিতে চলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।
বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের তুমুল ব্যাপ্তির কথা মাথায় রেখে এ বিষয়ে ভাবতে শুরু করেছে সৌরভ গাঙ্গুলির নেতৃত্বাধীন বিসিসিআই। এর পেছনে মূলত আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের অনুরোধও বড় প্রভাব ফেলছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন টি-টোয়েন্টি লিগে দল কিনেছে আইপিএলের ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। তারা বিসিসিআইকে অনুরোধ করেছে, ভারতীয় খেলোয়াড়দের দক্ষিণ আফ্রিকাসহ অন্যান্য লিগেও খেলার অনুমতি দিতে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইনসাইড স্পোর্টসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে এমন তথ্য। বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা নিজের পরিচয় গোপন রেখে এ বিষয়ে ভাবনার কথাও স্বীকার করেছে।
সেপ্টেম্বরে বোর্ডের আগামী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সেই কর্মকর্তা। তার ভাষ্য, ‘বিদেশি লিগেও মালিকানা থাকা আইপিএলের কয়েকটি দলের পক্ষ থেকে বিসিসিআইয়ে অনুরোধ করা হয়েছে, যেনো ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলতে অনুমতি দেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে বার্ষিক সাধারণ সভায় আলোচনা করতে হবে। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আসলে এটি একটি জটিল ইস্যু। কারণ আইপিএলের সফলতার পেছনে কিন্তু এটিও রয়েছে যে, ভারতীয় খেলোয়াড়রা আর কোথাও খেলে না।
তো আমরা এই শক্তির জায়গাটি ছাড়তে চাই না। তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ যেভাবে বাড়ছে, নতুন কিছু ভাবা হতেও পারে। বর্তমানে শুধুমাত্র ভারতের নারী ক্রিকেটাররা বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলার অনুমতি পেয়ে থাকেন।
এর বাইরে অবসর নেওয়া এবং বিসিসিআইয়ের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে না থাকা ক্রিকেটাররাও বিভিন্ন লিগে খেলে থাকেন। ভারতের কোনো পুরুষ ক্রিকেটার কোনো বিদেশি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারেন না।
এখন নতুন পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হয়তো এক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হবে। তবু শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেটার যেমন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা বা জাসপ্রিত বুমরাহদের বিদেশি লিগে খেলতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিসিসিআই কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন আমাদের মনে রাখতে হবে, ভারতের খেলোয়াড়দের কারণেই আইপিএল এতো জনপ্রিয়। এখন তারা যদি অন্য লিগেও খেলে তাহলে আইপিএলের দর্শক চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই কমে যাবে।
তবে তারকা ক্রিকেটারদের বাইরে এই নিয়মে খানিক ছাড় দেওয়া যেতেই পারে। জাতে করে ক্রিকেটের প্রতি মানুষের আস্থা বারে।