পেসারদের সাফল্যে পিছে তাসকিনের অবদান দেখছেন সাকিব। তিনি মনে করেন, পেসারদের নৈপুণ্যের পেছনে ভূমিকা রয়েছে তাসকিন আহমেদের। তাকে ফলো করেই উন্নতি করছে খালেদরা।
ব্যাটাররা ব্যর্থ হলেও অ্যান্টিগা টেস্টে দাপট দেখিয়েছেন টাইগার বোলাররা। খালেদ আহমেদ, ইবাদত হোসেনদের গতিতে ম্যাচ জিততে বেগ পেতে হয়েছে উইন্ডিজ ব্যাটারদের।
চোটের কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নেই তাসকিন আহমেদ। ইনজুরির সঙ্গে তাসকিনের সখ্যতা অবশ্য নতুন নয়। দীর্ঘ সময় চোট এবং অফফর্মের কারণে দলের বাইরে থাকতে হয়েছে এই পেসারকে।
এমনকি পড়েছিলেন বোলিং অ্যাকশনের বেড়াজালেও। সব চ্যালেঞ্জকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তাসকিন ফিরেছেন রুদ্র রূপে। গতি আর বাউন্সারে টাইগারদের পেস আক্রমণের নেতা এখন এই দীর্ঘদেহী পেসার।
তাসকিনের এমন অভাবনীয় প্রত্যাবর্তনই টাইগার পেসারদের অনুপ্রেরণা যোগায় বলে মন্তব্য করেন সাকিব। অ্যান্টিগা টেস্ট শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘পেসাররা অনেক দিন ধরেই অনেক ভালো বল করছে।
ওদের ভেতরে চেষ্টাটাও অনেক বেশি। যেটা আমার কাছে মনে হয় সবচেয়ে জরুরি। ওরা বিশ্বাস করে যে ওরা অনেক কিছু পরিবর্তন করতে পারে। ওই বিশ্বাসটা ওদের আছে।
আমার ধারণা অনেক চেষ্টা করে, ওরা অনেক পরিকল্পনা করে। একসঙ্গে থেকে পরিকল্পনা করে একটা কাজ করার চেষ্টা করে। যে কারণে ওরা আসলে এত বেশি সফল হচ্ছে।
খালেদদের এমন পারফরম্যান্সের পেছনে যে অনেক বড় ভূমিকা আছে তাসকিনের, সেটাই বললেন সাকিব, ‘একটা বড় কৃতিত্ব দিতে হয় তাসকিনকে।
তাসকিন আসলে গত দু-তিন বছরে দেখিয়ে দিয়েছে যে কীভাবে আসলে একজন পেসার অনেক বড় হতে পারে, সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে কিংবা কীভাবে নাটকীয়ভাবে খুব দ্রুত উন্নতি করতে পারে।
আমার মনে হয় ওকে অনেকেই অনুসরণ করে। আমাদের পেসারদের ভালো করার পেছনে এটা একটা বড় কারণ। তাসকিনের প্রশংসা করে সাকিব বলেন, ‘এর আগে কেউ মনে হয় নিজের ক্যারেক্টার দেখিয়ে আসেনি।
এ রকম কঠোর পরিশ্রম করে, ম্যাচের পর ম্যাচ, যতক্ষণ পারে, ৩০ ওভার, ৩৫ ওভার, ৪০ ওভার একই গতিতে বল করা। এর আগে খুব বেশি হয়নি। হয়তো হয়েছে মাঝেমধ্যে।
কিন্তু এত বেশি কেউ করেনি। তাই তাসকিনকে অনেক বেশি কৃতিত্ব দিতে হয়। এই চিন্তাধারাটা বদলানোর পেছনে ওর অনেক বেশি ভূমিকা আছে।’