মোস্তাফিজের পর কেব্ল মাত্র এবাদতের উইকেট শিকার বাকিদের উইকেটের খাতা শূন্য। ব্যাটাররা যাচ্ছেতাই খেলেছেন। তবে অ্যান্টিগা টেস্টে লড়াইয়ে ফেরার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বাংলাদেশি বোলাররা।
দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ক্যারিবীয়দের আটকে রেখেছেন তারা। মোস্তাফিজ ধীরগতির ওপেনিং জুটি ভাঙার পর এবাদত হোসেনও পেয়েছেন উইকেটের দেখা।
দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রেইমন রেইফারকে (১১) ফিরিয়েছেন এবাদত। ডাইভ দিয়ে ক্যারিবীয় ব্যাটারের ক্যাচটি তালুবন্দি করেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান সোহান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৩৭ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৮০ রান। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ৩৫ আর এনক্রূমাহ বোনার ৪ রানে অপরাজিত আছেন।
ক্যারিবীয়রা পিছিয়ে ২৩ রানে। ওপেনিংয়ে জন ক্যাম্পবেল আর ক্রেইগ ব্রেথওয়েট যেন পণ করে বসেছিলেন কোনো ধরনের ঝুঁকিই নেবেন না। রান উঠুক আর না উঠুক, উইকেটে পড়েই থাকবেন।
ফলে প্রথম ১৫ ওভারে মাত্র রান উঠে ১৫। চা-বিরতিতে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিরতির পর একটু রানের গতি বাড়লেও চড়াও হয়নি স্বাগতিকরা। ফলে ২৫ ওভার পর্যন্ত উইকেটও তুলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ।
অবশেষে ক্যাম্পবেল-ব্রেথওয়েটের ধীরগতির জুটিটি ভেঙেছেন মোস্তাফিজ। ২৬তম ওভারে মোস্তাফিজের যে বলে বোল্ড হয়েছেন ক্যাম্পবেল, সেটিও যে মারতে গেছেন এমন নয়।
ডিফেন্ডই করেছিলেন ক্যারিবীয় ওপেনার, ইনসাইডেজ হয়ে বেল পড়ে যায়। ৭২ বলে ২৪ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন ক্যাম্পবেল। ৪৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।
পরের ওভারে আবারও উইকেট পেতে পারতেন মোস্তাফিজ। কিন্তু টানা দুই বলে রেইফার আর ব্রেথওয়েটের কঠিন ক্যাচ স্লিপে ডাইভ দিয়ে হাতে লাগালেও ধরতে পারেননি লিটন দাস।
বাংলাদেশকে জবাব দিতে নেমে শুরুটাই ধীরগতির ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। মোস্তাফিজুর রহমান আর খালেদ আহমেদ জুটি গড়ে বোলিং শুরু করেন। দুই ওপেনার ক্যাম্পবেল আর ব্রেথওয়েট তাদের প্রথম ৫ ওভারে এক রানও নেননি। অর্থাৎ মেইডেন যায় প্রথম ৫ ওভার।
স্বাগতিকদের প্রথম রান আসে ৩২তম বলে। এরপরও খোলস ছেড়ে বের হননি ক্যারিবীয় দুই ওপেনার। মোস্তাফিজ তার প্রথম চার ওভারই নেন মেইডেন। ৫ ওভারে ৪ মেইডেনসহ ১ রান দেন মোস্তাফিজ।
খালেদ ৫ ওভারে ৩ মেইডেনসহ দেন ৩ রান।
প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ৮ রান নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৩ ওভারে নেয় ১০। অবশেষে ১৪তম ওভারে এসে রান কিছুটা বাড়ে তাদের। মেহেদি হাসান মিরাজকে একটি বাউন্ডারি হাঁকান ব্রেথওয়েট।
তবে এরপর ক্যারিবীয় দলপতি আবার খোলসে ঢুকে পড়েন। এর আগে অধিনায়ক সাকিবের ক্যারিয়ারের ২৮তম হাফসেঞ্চুরির পরও ৩২.৫ ওভারে ১০৩ রানে থামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ- ১০৩/১০ (৩২.৫ ওভার) (তামিম ২৯, লিটন ১২, সাকিব ৫০, এবাদত ৩; সেলেস ৩/৩৩, জোসেফ ৩/৩৩, রোচ ২/২১)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ- ৯৫/২ (৪৮ ওভার) (ব্র্যাথওয়েট ৪২*, ক্যাম্পবেল ২৪, বোনার ১২*; মুস্তাফিজ ১/১০, এবাদত ১/১৮)