Breaking News

সেমিফাইনালের ম্যাচে ফ্রান্সকে মরক্কোর হুমকি, যেকোনো মূল্যে জয় চায় আফ্রিকার এই দেশ

ইউরোপ-লাতিন ও ইউরোপ-আফ্রিকার লড়াই হবে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। রাশিয়া বিশ্বকাপের মতো অল ইউরোপ ফাইনাল হবে নাকি শেষ লড়াইটা হবে দুই মহাদেশের সেটা নির্ধারণ হয়ে যেতে পারে আজ (মঙ্গলবার) রাতেই।

প্রথম সেমিফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনা জিতলেই ফাইনাল লড়াইটা হবে দুই মহাদেশের। ক্রোয়েশিয়া জিতলে টিকে থাকবে অল ইউরোপ ফাইনাল হওয়ার সম্ভাবনা।

সেটা হলে রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালের পুনরাবৃত্তিই হবে কাতারে। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম আফ্রিকার কোন দেশ খেলছে সেমিফাইনালে। ফিফা র‌্যাংকিংয়ে ২২ ও আফ্রিকার র‌্যাংকিংয়ে ২ নম্বর দল মরক্কো কাতার বিশ্বকাপে সবচেয়ে আলোচিত নাম।

শেষ চারের মঞ্চে পা রাখার পথে তার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় করে দিয়েছে স্পেন ও পর্তুগালের মতো দেশকে। তারা এখন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অপরাজিত থেকে সেমিফাইনালে ওঠা দলটি এখানেই থেমে যাবে?

নাকি তাদের জয়ের ঘোড়া ছুটতেই থাকবে? দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স মোটেও খাটো করে দেখছে না মরক্কোকে। চ্যাম্পিয়ন দলের ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে বলেছেন, তারা কোনভাবেই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের ফাঁদে পড়বে না।

বিশ্বকাপ খেলতে কাতারে আসার আগে ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশন দলকে শেষ চারে ওঠার একটা লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছিল। দিদিয়ের দেশমের দল সেটা পূরণ করতে পেরেছে।

তবে রাফায়েল ভারানে এখানেই থামতে চান না, ‘আমরা ফাইনালমঞ্চে যাওয়ার জন্য ক্ষুধার্ত। মরক্কোর বিপক্ষে সেমিফাইনালে আমাদের আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই।’

চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এ্ই রাফায়েল ভারানে। ‘আমরা অনেক অভিজ্ঞ। অতি অত্মবিশ্বাসের ফাঁদ কিভাবে এড়িয়ে যেতে হবে সেটা আমরা জানি।

আমরা জানি, মরক্কো এই পর্যায়ে ফাঁকতালে উঠে আসেনি। বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওঠা সহজ কাজ নয়। তাদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। আরেকটা লড়াইয়ের জন্য তারা যথেষ্ট প্রস্তুত।

এ পর্যন্ত আসতে পেরে আমরাও অনেক খুশি। তবে এখন আমাদের একটাই লক্ষ্য জয়’ – বলেছেন ফ্রান্সের অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার। দলের আরেক ডিফেন্ডার জুলেস কোন্দে মরক্কোর খেলার প্রশংসা করে বলেছেন,‘এটা উল্লেখ করার মতো বিষয় যে,

মরক্কো এই বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত একটি গোল খেয়েছে। তাও আত্মঘাতী। তারা খুবই ভালো একটা কম্প্যাক্ট দল। বল নিয়ে নিজেদের সংগঠিত করার জন্য খুব কম সময় নিয়ে থাকে তারা। তারা দ্রুত গতি সম্পন্ন।

আমাদের বল পায়ে রাখতে হবে এবং তাদের ভারসাম্যহীন করতে বল এক পাশ থেকে অন্য পাশে পাস দিতে হবে।এমবাপে, জিরু আর গ্রিজম্যানদের আফ্রিকার দলকে খাটো করে না দেখার কারণও আছে।

এই বিশ্বকাপেই যে তারা একটি ম্যাচ হেরেছে সেটা আফ্রিকার দলের কাছে। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তিউনিশিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে দিদিয়ের দেশমের দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *