ইনিংসের শেষ বলে ছয় মেরে আইপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মারকুটে ব্যাটার সূর্যকুমার যাদব। তার সেঞ্চুরিতে ২১৮ রানের বড় পুঁজি পেলেও সেটিকে প্রায় ধরে ফেলেছিলেন গুজরাটের রশিদ খান। আফগান এই লেগ-স্পিনার
এদিন রীতিমতো অলরাউন্ডার বনে যান। বল হাতে ৪ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ১০ ছক্কায় ৩২ বলে করেছেন ৭৯ রান। তার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এক সময় সূর্যের সেঞ্চুরি ম্লান করে গুজরাটের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।
তবে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হেসেছে মুম্বাই। আইপিএলের শুরুতে ছন্দহীন সূর্যর সর্বশেষ ছয় ইনিংসে এটি পঞ্চম পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। আর পঞ্চম ফিফটিকে তিনি আইপিএলের প্রথম সেঞ্চুরিতে পরিণত করেন, যা চলমান আসরের চতুর্থ সেঞ্চুরি।
৩২ বলে ৫০ রান করা সূর্য ৪৯ বলেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন। অর্থ্যাৎ পরবর্তী ৫০ করতে তিনি মাত্র ১৯ বল খেলেন। এর আগে শুক্রবার (১২ মে) টসে হেরে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে মুম্বাই আগে ব্যাটিংয়ে নামে।
মুম্বাইয়ের ওপেনিংয়ে দলকে ৬১ রান এনে দেন ঈশান কিশান ও রোহিত শর্মা। কিশান ২০ বলে ৩১ করে রশিদের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। এরপর রোহিতও ১৮ বলে ২৯ রান করে রশিদের শিকার হন। টানা রানখরায় ভুগে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন
রোহিত। আফগান স্পিনারের সামনে অন্যরা যখন খাবি খাচ্ছিলেন, সেখানে সূর্যকুমার ব্যতিক্রম। ক্রিজের একপ্রান্ত আগলে রেখে শুরুতে ধীরস্থির ব্যাট করে যান তিনি। চতুর্থ উইকেটে বিষ্ণু বিনোদের সঙ্গে গড়েন ৬৫ রানের জুটি।
বিনোদ ২০ বলে ৩০ রান করে আউট হন। অন্যপ্রান্তে এভাবে ব্যাটার বদল হলেও, সেঞ্চুরির পথে অটল ছিলেন সূর্য। ওয়ানডে ও টেস্টে এখনও সেঞ্চুরি না পাওয়া এই নম্বর ওয়ান টি-টোয়েন্টি ব্যাটার ফরম্যাটটিতে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন।
তবে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে প্রথম ম্যাজিক ফিগারের ছোঁয়া পেলেন সূর্য। ইনিংসের শেষ তিন বলের মধ্যে দুটি ছক্কা মেরে তিনি শতক পূর্ণ করেন। গুজরাটের হয়ে এদিন বল হাতে সফল কেবল রশিদ খান।
৪ ওভার বল করে ৩০ রান খরচায় ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। এরপর মোহিত শর্মার এক উইকেট প্রাপ্তি ছাড়া বাকি সব বোলারই ব্যর্থ হয়েছেন। ২১৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় গুজরাট।
টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারই ফিরেছেন ২৬ রানের মধ্যে। এরপর বিজয় শংকরকে নিয়ে ইনিংস টেনে তোলার দায়িত্ব নেন ডেভিড মিলার। শংকর ২৯ রানে আউট হলে আবার ধাক্কা খায় গুজরাট। এরপর রাহুল তেওয়াতিয়া,
রশিদ খানরা হারের ব্যবধান খুব বেশি কমাতে পারেননি। ৪১ রান করেছেন মিলার। মিলার ফিরলেও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান রশিদ খান। ১০ ছয় ও ৩ চারের বাউন্ডারিতে তিনি ৩২ বলে ৭৯ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন।
শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত থাকলেও গুজরাটের ইনিংস থামে ১৯১ রানে। ফলে টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি ২৭ রানে হেরে যায়। গুজরাটের হয়ে আকাশ মাধওয়াল সর্বোচ্চ ৩টি,
পিযূষ চাওলা এবং তেওয়াতিয়া ২টি এবং জেসন বেহরেনডর্ফ নেন একটি উইকেট। এই জয়ে ১২ ম্যাচে ৭ জয়ে পয়েন্ট তালিকার তিনে অবস্থান নিয়েছে মুম্বাই। সমান ম্যাচে ৮ জয়ে গুজরাট রয়েছে শীর্ষে।