তিন বছরের জন্য বিপিএল দলের মালিকানা পেতে আগ্রহী ৯টি প্রতিষ্ঠানের একটি ছিল সাকিব আল হাসানেরও। তবে মালিকানার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য যে সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়েছে গভর্নিং কাউন্সিল, তার মধ্যে ঠাঁই হয়নি এই তারকা অলরাউন্ডারের মোনার্ক হোল্ডিংসের।
চূড়ান্ত বাছাইয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সুনামও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি আসরটির শীর্ষ কর্মকর্তা ইসমাইল হায়দার মল্লিক।
গত কিছুদিনে সাকিবের প্রতিষ্ঠানকে ঘিরে বিতর্কিত নানা খবরও এসেছে। মোনার্কের কোনো দলের মালিকানা না পাওয়ার পেছনে এটিই যে মূল কারণ,
সেটিও সংবাদমাধ্যমকে মুখ ফুটে বলতে দ্বিধা করেননি বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল, ‘সাকিবের প্রতিষ্ঠানকে আমরা বিবেচনা করিনি।
কারণ নির্দিষ্ট ওই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে মিডিয়ায় অনেক খবরাখবর আসছিল গত কিছুদিন ধরেই। কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে বেছে নেওয়ার আগে এসব বিষয়ও বিবেচনায় রাখতে হয়েছে আমাদের।
সাকিবের প্রতিষ্ঠান ছিটকে পড়ায় ইওআই (এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট) জমা দেওয়া আটটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মালিকানা পাচ্ছে ছয়টি। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন না করেও মালিকানা পাওয়া সপ্তম দল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস।
এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ইসমাইল, ‘বিপিএলকে সফল করার জন্য কুমিল্লার অবদান তো আমরা ভুলে যেতে পারি না। এই আসর দিয়েই আবার বিপিএলে ফিরছে সাবেক চ্যাম্পিয়ন এবং বসুন্ধরা গ্রুপের মালিকানাধীন রংপুর রাইডার্স।
তবে আসরটিতে নিয়মিত দল নামানো বেক্সিমকো এবং জেমকন গ্রুপ এবার আবেদনই করেনি। আবেদন করে মালিকানা পাওয়া অন্য পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ফরচুন বরিশাল স্পোর্টস লিমিটেড (বরিশাল),
মাইন্ডট্রি লিমিটেড (খুলনা), প্রগতি গ্রিন অটো রাইস মিলস লিমিটেড (ঢাকা), ফিউচার স্পোর্টস বাংলাদেশ লিমিটেড (সিলেট) এবং ডেল্টা স্পোর্টস লিমিটেড (চট্টগ্রাম)।
মনোনীত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি এবং আনুষঙ্গিক অন্যান্য খরচের অর্থ জমা দিয়ে মালিকানা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।