দুই যুগ আগের বাংলাদেশ সফরের কথা বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন কার্টলি অ্যামব্রোস। তবে গত কদিনের বিপিএল ধারাভাষ্যকারের অভিজ্ঞতায় ফিরে পেয়েছেন স্মৃতি। সমালোচনার মাঝেও বিপিএল নিয়ে উচ্ছসিত ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি।
বাংলাদেশের মাশরাফীর কারণে পেস বোলিংয়ে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসছে বলেও মনে করেন তিনি। ৯০’র দশকে ব্যাটারদের জন্য ভীতিকর এক নাম ছিল কার্টলি অ্যামব্রোস। ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি উচ্চতার এ ফাস্ট বোলারের সামনে
অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছিল সে সময়ের সেরা ব্যাটারদের। খেলা ছেড়েছেন ২৩ বছর হয়ে গেল, তবে ক্রিকেট থেকে কখনো দূরে থাকতে পারেননি এ ক্যারিবিয়ান গ্রেট। দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ সফরে অ্যামব্রোস।
আগেরবার খেলতে এসেছিলেন আর এবার ধারাভাষ্যকার হিসেবে। চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের কাছে জানালেন সেসময়ের স্মৃতি। অ্যামব্রোস বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগে অনেকেই জিজ্ঞাসা করেছিল বাংলাদেশে আমি প্রথমবার এসেছি কিনা?
আমি বলেছি হ্যাঁ এটাই আমার প্রথম সফর। যদিও কথাটা ঠিক না। আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে ৯৯ সালে একবার এসেছিলাম।বিপিএল নিয়ে সমলোচনা আর বিতর্কের শেষ নেই। তবে অ্যামব্রোস এই টুর্নামেন্টকে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক মনে করছেন।
টি টোয়েন্টি মানেই রানের বন্যা বইবে তা মানতে নারাজ এ ক্যারিবিয়ান। ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি বলেন, এখানে খুব ভালো ক্রিকেট হচ্ছে, বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক, উইকেটও ভালো। টি-টোয়েন্টি মানে এমন না যে প্রতি ম্যাচে ২০০ রান হবে।
১৩০-১৩৫ রানের যে এক্সাইটিং ম্যাচ হয় তা বিপিএলে দেখা যায়। বাংলাদেশি পেস বোলারদের খুব কাছ থেকে দেখছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি। একবার মাশরাফী ও তাসকিনের সঙ্গে আড্ডা দিতেও দেখা গেছে।
তিনি যেমন জোয়েল গার্নার, মাইকেল হোল্ডিংদের দেখে ফাস্ট বোলার হবার প্রেরণা পেয়েছেন, তার বিশ্বাস ম্যাশকে দেখেও আরো পেসার ওঠে আসবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক এ ক্রিকেটার বলেন, এ বয়সে মাশরাফি খেলছে এটা দারুণ ব্যাপার।
দেখুন এ ধরণের একজন আইডল থাকা খুব প্রয়োজন। তরুণরা তো শিখবেই পাশাপাশি অনেকে মাশরাফির মতো পেসার হতে চাইবে। এটা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক।
ক্রিকেট দর্শণ, ব্যস্তসূচীতে পেসারদের ভবিষ্যৎ আর ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বাড়াবাড়ি নিয়ে অ্যামব্রোসের কথা থাকছে দ্বিতীয় পর্বে।