Breaking News

বেনজেমা-টনি ক্রুসের গোলে জয়ে ফিরলো রিয়াল মাদ্রিদ

ভিয়ারিয়ালের কাছে হারের পর আরও অনেক ঘটনা ঘটে গেছে, আর কয়েকবার মাঠে নেমেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে সেগুলোর কোনোটিই স্প্যানিশ লা লিগার খেলা ছিল না। স্প্যানিশ সুপার কাপ কিংবা কোপা ডেল রে’র ম্যাচ ছিলো সেগুলো।

সেই ম্যাচগুলোর কোনোটি জিতেছে রিয়াল, কোনোটিতে হারতে হয়েছিলো। তবে লা লিগায় সেই হারের পর রোববার প্রথম মাঠে নেমেছে তারা। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের মাঠে গিয়ে খেলতে হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে।

করিম বেনজেমা এবং টনি ক্রুসের গোলে বিলবাওকে ২-০ গোলে হারিয়ে জয়ের রাস্তায় ফিরে এলো কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা। এই জয়ের পরও শিরোপার লক্ষ্যে বার্সেলোনার পেছনেই থাকলো রিয়াল মাদ্রিদ।

১৭ ম্যাচে বার্সার অর্জন ৪৪ পয়েন্ট, রিয়াল মাদ্রিদের অর্জন ৪১ পয়েন্ট। তৃতীয়স্থানে থাকে রিয়াল সোসিয়েদাদের চেয়ে ৩ পয়েন্ট এগিয়ে রিয়াল। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সোসিয়েদাদের অবস্থান ৩৮।

ভিয়ারিয়ালের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। সেই ভিয়ারিয়ালকেই গত সপ্তাহে কোপা ডেল রে’র ম্যাচে ৩-২ গোলে হারিয়েছিলো রিয়াল। বিলবাওয়ের বিপক্ষে তাই তাদের ছিল ফিরে আসার মিশন।

সে লক্ষ্যে শুরুতেই দলকে এগিয়ে দেন করিম বেনজেমা। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে গোল করেন বেনজেমা। ম্যাচ শেষ হওয়ার খানিক আগ মুহূর্তে (৯০ মিনিটে) গোল করেন টনি ক্রুস।

কোপা ডেল রে’র বিপক্ষে সেই জয়ের পর বিলবাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচে লুকা মদ্রিচ, টনি ক্রুসকে বিশ্রাম দেয়ার পরিকল্পনা করেন কোচ আনচেলত্তি। পরিবর্তে একাদশে নিয়ে আসেন মিডফিল্ডার দানি সেবালসকে।

বিলাওয়ের বিপক্ষে অবশ্য জয়ের পেছনে অন্যতম অবদান ছিলো সেবালসেরও। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার সঙ্গে জুটি বেধে দুর্দান্ত খেলতে থাকেন সেবালস। যে কারণে ২৪ মিনিটেই দারুণ এক ফিনিশিংয়ের সুযোগ পেয়ে যান করিম বেনজেমা।

সেবালসই অসাধারণে খেলে বল নিয়ে আসেন বক্সের সামনে। তার কাছ থেকে বল পেয়ে যান ভালভার্দে। তিনি ক্রস দেন মার্কো আসেনসিওকে। তিনি হেডে বল ফেলেন বেনজেমার সামনে। যিনি বাম পায়ের দারুণ

এক ভলিতে বল জড়িয়ে দেন বিলবাওয়ের জালে। দ্বিতীয়ার্ধে রিয়ালের আসেনসিও, ভিনিসিয়ুস জুনিয়র এবং ভালভার্দে গোলের দারুণ কিছু সুযোগ মিস করেন। রিয়াল ডিফেন্ডারদের কিছু ভুলে বিলবাও’ও বেশ ভালো কিছু সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলো;

কিন্তু কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় তারা। ৬৯ মিনিটে নিকো উইলিয়ামস দলকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পেয়েও মিস করেন। এর কিছুক্ষণ পর তার ভাই ইনাকি উইলিয়ামসের একটি গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেয় রেফারি।

৮৫তম মিনিটে মাঠে নামানো হয় টনি ক্রুসকে। খেলা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে রদ্রিগোর পাস থেকে বল পেয়ে যায় টনি ক্রুস। বল পেয়েই জোরালো এক শট নেন তিনি। যা বাম পাসের পোস্ট দিয়ে প্রবেশ করে বিলবাওয়ের জালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *