আগের রাতে শিশিরের মতো কয়েক ফোঁটা বালুর গায়ে এসে মিশেছে। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে সেটাই নাকি আরাধ্যের ‘মরুর বৃষ্টি’! শুভদিনের আগেই নাকি কেবল বৃষ্টিমুখ দেখা যায়।
তাহলে কি আজ কাতারে বিশ্বকাপেরই শুভদিন হতে যাচ্ছে! কিন্তু তা হয় কীভাবে- রাতে গায়ে গায়ে দুই কিলোভোল্টেজের ম্যাচ। শুরুতে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়া, তারপর আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস। নকআউটের মঞ্চ তো রীতিমতো বক্সিংয়ের রিং হয়ে আছে।
সেখানে হৃদয়ের ক্ষরণ হবে না, ভালোবাসার বাড়াবাড়ি হবে না- তা কি সম্ভব! গতকাল সকাল থেকেই তো দুই দলের সমর্থকরা রীতিমতো শহর দখলে নেমেছে, ফ্যানজোনে বাড়তি পুলিশ দেওয়া হয়েছে।
হোটেল-রেস্তোরাঁ ও মেট্রো স্টেশনের সামনেও কড়া নজর। নেইমার-মেসিদের ভাগ্যলিপি লেখার রাতে যেন ফুটবলের ছায়া পড়তে যাচ্ছে পৃথিবীর গায়ে- আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা থেকে ৩টা পর্যন্ত সেই ‘ফুটবল গ্রহণ’ চলবে।
আর্জেন্টিনা ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ালে সেই গ্রহণের সময় আরও ৪৫ মিনিট বাড়তে পারে। দোহার লুসাইল আর এডুকেশন সিটি স্টেডিয়াম থেকে খালি চোখে সেই গ্রহণ দেখা গেলেও বাংলাদেশ থেকে শুধুই টেলিভিশন আর মোবাইল অ্যাপেই দেখা যাবে তা।
দুটি ম্যাচে কোন দল শক্তিশালী? নেইমারদের রুখে দেওয়ার সাধ্যি কি আছে ক্রোয়েশিয়ার? মেসিদের কি আটকাতে পারবে নেদারল্যান্ডস? এ নিয়ে ফেসবুক, মহল্লায় যুক্তিতর্ক-কুতর্ক যেমন আছে,
তেমনি এ দুটি ম্যাচ নিয়ে পশ্চিমা বাজারের বেটিং সাইটেও অনেক ধরনের প্রেডিকশন রয়েছে। তবে কিনা বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে এসে প্রতিপক্ষ কাউকেই তুড়ি দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার তর্কে বোধ হয় কেউই যাবে না।
বরং ম্যাচের চব্বিশ ঘণ্টা আগে দলগুলোর ক্যাম্পের পরিবেশ আর ট্রেনিং দেখে কিছুটা পূর্বাভাস মিলতে পারে।