bdmorning24news bdmorning24news
Related Articles
এই ম্যাচকে ধরা হচ্ছিল শিরোপা-নির্ধারণের লড়াই। পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুই দল মুখোমুখি, আভাস যেখানে ‘কেহ কাকে নাহি ছাড়ে সমানে সমান’ লড়াইয়ের। কিন্তু এমন ম্যাচে মেসি-এমবাপ্পে জ্বলে উঠলে কি হয় তা টের পেল লেন্স।
দুই এম এর গোলে দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে পয়েন্ট টেবিলের টপাররা। সেই সঙ্গে মেসি ছুঁয়েছেন অনন্য একত রেকর্ড। শনিবার (১৫ এপ্রিল) লেন্সের বিপক্ষে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের শিষ্যরা।
গোলের দেখা পেয়েছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, লিওনেল মেসি ও ভিতিনহা। লেন্সের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন শেমেসোয়াফ ফ্রাঙ্কোওস্কি। এই জয়ে ফ্রেঞ্চ লিগের শিরোপা দৌড়ে পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়েও গেল পিএসজি।
৩১ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ৭২, সমান ম্যাচ খেলে লেন্স ৬৩। এবারের মৌসুমে দুই দলের ৭টি করে ম্যাচ বাকি। পার্ক দে প্রাসে সফরকারী লেন্সকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে পিএসজি। ম্যাচের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হয় লেন্স।
ম্যাচের ১৯তম মিনিটে ঘানাইয়ান ফুটবলার আবদুল সামেদ মরক্কোর আশরাফ হাকিমিকে অযথা ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। লিগ ওয়ানে মুখোমুখি হয়েছিল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুইদল।
তাই ধারণা করা হচ্ছিল লড়াই হবে জমজমাট। ম্যাচের শুরুতে আভাসও মেলে তেমন। কিন্তু ম্যাচের ১৯তম মিনিটে আবদুল সামেদ লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার পর আর পাল্লা দিয়ে লড়তে পারেনি লেন্স।
৩১ মিনিটের সময় কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে লিড পায় পিএসজি। ভিতিনহার পাসে ফরাসি ফরোয়ার্ডের শট পোস্টে লেগে জালে জড়ায়। এর ছয় মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিতিনহা। মেসি ছোট করে কর্নারে বল দেন নুনও মেন্ডেসকে।
পর্তুগিজ ফুলব্যাকের পাসে বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে গোলপোস্ট কাঁপান তার জাতীয় দলের সতীর্থ ভিতিনহা। ঠিক তিন মিনিট পর স্কোরকার্ডে নাম লেখান মেসি। বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের একজনকে কাটিয়ে এমবাপ্পেকে
পাস দিয়ে ভেতরে ঢুঁকে পড়েন তিনি। সতীর্থের ফিরতি পাসে গোলরক্ষকে পরাস্ত করেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এই গোলে রেকর্ডবুকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পাশে বসলেন মেসি।
ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে এতদিন ধরে সর্বোচ্চ গোলদাতার আসনে একাই ছিলেন রোনালদো। এই গোলে তার পাশে জায়গা করে নিলেন মেসিও। দুজনেরই গোলসংখ্যা ৪৯৫টি।
গত ডিসেম্বরে সৌদি আরবে পাড়ি জমানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে রেকর্ডটি একার করে নেয়াটা এখন সাতবারের ব্যালন ডি’অরজয়ীর জন্য স্রেফ সময়ের ব্যাপার।
দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল করতে পারেনি পিএসজি। উল্টো ৬০ মিনিটে ফ্রাঙ্কোভস্কির গোলে ব্যবধান কমায় লেন্স। পিএসজির বক্সে ফাবিয়ান রুইজের হাতে বল লাগলে পেনাল্টি দেন রেফারি। স্পটকিকে গোল করেন তিনি।