Breaking News

নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে বিশ্বকাপে শেষ দল হিসেবে জয় দেখলো ‘শ্রীলঙ্কা’

হারের বৃত্ত অবশেষে ভাঙল শ্রীলঙ্কার। টানা তিন হারের পর বিশ্বকাপে প্রথম জয় পেল ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নরা। আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অঘটন ঘটানো নেদারল্যান্ডসকে লঙ্কানরা হারিয়েছে ৫ উইকেটে।

ডাচদের ২৬২ রান সাদিরা সামারাবিক্রমা এবং পাথুম নিশাঙ্কার হাফসেঞ্চুরিতে ১০ বল বাকি থাকতে ছাড়িয়ে গিয়ে জয়োৎসব করে কুশল মেন্ডিসের দল। রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কার শুরু হয় নড়বড়ে।

জোড়া আঘাতে আরিয়ান দত্ত তুলে নেন শ্রীলঙ্কার ব্যাটিংয়ের দুই স্তম্ভ কুশল পেরেরা ও কুশল মেন্ডিসকে। পঞ্চম ওভারে আউট হন পেরেরা আর দলীয় স্কোর ৫০ ছোঁয়ার পর ফেরেন অধিনায়ক মেন্ডিস। এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমার সঙ্গে হাফসেঞ্চুরির

জুটি গড়ে দলীয় স্কোর ১০০ পেরিয়ে আউট হন পাথুম নিশাঙ্কা। এরপর চারিথ আশালঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমার আরেকটি হাফসেঞ্চুরির জুটিতে জয়ের পথে হাঁটতে থাকে শ্রীলঙ্কা। আশালঙ্কাকে বোল্ড করে এই জুটিও ভাঙেন আরিয়ান দত্ত।

তবে সামারাবিক্রমার অপরাজিত ৯১ রানের ইনিংসটায় জয়ের বন্দরে পৌঁছতে কোনো সমস্যা হয়নি ১৯৯৬ সালের চ্যাস্পিয়নদের। এর আগে সাইব্রান্ড এনগালব্রেখট এবং লোগান ফন বিকের

হাফসেঞ্চুরিতে ২৬২ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে নেদারল্যান্ডস। শ্রীলঙ্কান পেসারদের তোপে ৯১ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে ডাচরা। আগের ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো দলটার ব্যাটিং লাইনআপ এভাবে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে সেটা হয়তো

কেউ ভাবেনি। তবে শেষ পর্যন্ত ভালো একটা রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে তারা এনগালব্রেখট ও ফন বিকের দৃঢ়তায়। চাপের মুখে সপ্তম উইকেটে এ দুজন মিলে ১৪৩ বলে যোগ করেছেন ১৩০ রান। তাতেই ২৫০ পেরোয় ডাচদের স্কোর।

৮২ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৭০ রান করেছেন এনগালব্রেখট। আর ৭৫ বলে একটি ছয় ও চারে ৫৯ রানে ফেরেন ফন বিক। লঙ্কানদের হয়ে ৪টি করে শিকার দুই পেস বোলার কাসুন রাজিথা ও দিলশান মাদুশাঙ্কার।

লখনউতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদম ভালো হয়নি নেদারল্যান্ডসের। ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় ডাচরা। ৪ রান করে রাজিথার বলে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন বিক্রমজিৎ সিং।

আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার ম্যাক্স ও’ডাউডকে সঙ্গে নিয়ে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কলিন অ্যাকারম্যান। দুজনে যোগ করেন ৪১ রান। এক ছয় ও চারে ১৬ রান করা ও’ডাউডকে থামান রাজিথা।

এরপর দ্রুত ফিরে যান অ্যাকারম্যানও। পাঁচটি চারে ২৯ রান করে রাজিথার বলে মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৬ রান করা বাস ডি লিডকে আউট করেন মাদুশাঙ্কা। ৯ রান করা তেজা নিদামানুরুকেও ফেরান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *