মোহালিতে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ঝোড়ো ইনিংস খেলে অস্ট্রেলিয়াকে জেতান ম্যাথিউ ওয়েড।
আইপিএলে গুজরাট টাইটানসের জার্সিতে চূড়ান্ত ব্যর্থ।
তবে দেশের জার্সিতে ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই রং ছড়ালেন ম্যাথিউ ওয়েড। মঙ্গলবার মোহালিতে ওয়েডের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদেই ম্যাচ জিততে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া।
অজি উইকেটকিপার শেষমেশ ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৪৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। গত আইপিএলে গুজরাটের হয়ে ১০টি ম্যাচ খেলেন ওয়েড।
১০টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৫.৭০ গড়ে মাত্র ১৫৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি। ওয়েডকে উপরের দিকে ব্যাট করতে পাঠায় গুজরাট। কখনও গিলের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন ম্যাথিউ, কখনও আবার তিন নম্বরে ব্যাট করেন।
যদিও টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থার যথাযথ মর্যাদা দিতে পারেননি অজি তারকা। মোহালিতে ওয়েডের এমন ব্যাটিং তাণ্ডব অবশ্য খুশিই করেছে গুজরাট টাইটানসের হেড কোচ আশিস নেহরাকে।
আইপিএলের সময় নেহেরা খুব কাছ থেকে ওয়েডের পরিচর্যা করেছেন। সেকারণেই ফ্র্যাঞ্চাইজি ও দেশের হয়ে খেলতে নেমে তাঁর পারফর্ম্যান্সের এই ফারাকটার কারণ খুঁজে বার করতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি নেহরার।
ক্রিকবাজের আলোচনায় নেহরা বলেন, ‘ম্যাথিউ ওয়েড গোটা (আইপিএল) মরশুমে সমস্যায় ছিল। ও ওপেন করে, কখনও তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামে। তবে যখন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলতে নামে, ৫-৬ নম্বরে ব্যাট করতে হয়।
আমার মনে আছে, গত টি-২০ বিশ্বকাপে শাহিন আফ্রিদিকে একজোড়া ছক্কা হাঁকিয়েছিল ও। নেহরা পরক্ষণে বলেন, ‘ক্যামেরন গ্রিন যদি ৫-৬ নম্বরে ব্যাট করতে নামে, তবে আপনি নিশ্চিত অবাক হবেন না।
আবার ম্যাথউ ওয়েড ওপেন করতে নামলেও তা আপনাকে অবাক করবে না। টি-২০’র ব্যাটিং অর্ডার এমনই হয়। এটা নির্ভর করে কোন প্লেয়ার কোথায় ও কখন ক্লিক করে।
ওয়েড যখন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলে এবং লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করতে নামে, নিজের অভিজ্ঞতা যথাযথ কাজে লাগায় ও। মোহালিতে ওয়েডের শট নির্বাচন নিয়েও অভিভূত শোনাল নেহরাকে।
প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ম্যাচে ও মিডউইকেট দিয়ে ল্যাপ শট খেলছিল। তবে কয়েকটা শটে ওর অভিজ্ঞতার স্পষ্ট ছাপ ছিল। বিশেষ করে হার্ষাল প্যাটেলের ওভারে স্লোয়ার ডেলিভারির জন্য অপেক্ষা করে এবং স্কোয়ার লেগ বাউন্ডারিতে বল আছড়ে ফেলে।
উল্লেখ্য, মোহালিতে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ভারতকে ৪ উইকেটে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া। শুরুতে ব্যাট করে ভারত ৬ উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রান সংগ্রহ করে। পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ২১১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।