ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের ফল কী হবে- বলা মুস্কিল। কারণ ম্যাচের যে অবস্থা, তাতে যে কেউ জিততে পারে। শেষ দিন জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন আর ২৫৭ রান। শ্রীলঙ্কাকে জিততে হলে নিতে হবে ৯টি উইকেট।
শেষ দিনে নির্ধারিত ৯০ ওভাররে মধ্যে দুই দলের কেউই যদি এ লক্ষ্য অর্জন করতে না পারে, তাহলে ম্যাচ হবে ড্র। তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতে কিছুটা বেকায়দা অবস্থায় ছিলো শ্রীলঙ্কা।
সে জায়গা থেকে সফরকারীদের টেনে তোলেন অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেন তিনি। মিডল অর্ডারে তার সেঞ্চুরি এবং লেট মিডল অর্ডারে দুটি মাঝারি মানের ইনিংসের ফলে শ্রীলঙ্কার স্কোর পার হয়ে যায় ৩০০।
তবে ব্লেয়ার টিকনার, ম্যাট হেনরি এবং টিম সাউদির বোলিং তোপের মুখে শেষ পর্যন্ত ৩০২ রানে অলআউট হয়ে যায় লঙ্কানরা। ফলে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮৫ রানের।
জবাব দিতে নেমে চতুর্থ দিন শেষ বিকেলে একটি উইকেটও হারাতে হয়েছে কিউইদের। মাত্র ৫ রান করে ফিরে যান ডেভন কনওয়ে। কাসুন রাজিথার বলে রিটার্ন ক্যাচ দেন তিনি। চতুর্থ দিন শেষে নিউজিল্যান্ডের রান ১ উইকেট হারিয়ে ২৮।
১১ রান নিয়ে টম ল্যাথাম এবং ৭ রান নিয়ে ব্যাট করছেন কেনে উইলিয়ামসন। হ্যাগলি ওভালে টস জিতে প্রথমে শ্রীলঙ্কাক ব্যাট করতে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। ব্যাট করতে নেমে কুশল মেন্ডিসের ৮৭,
করুনারত্নের ৫০, ম্যাথিউজের ৪৭ রানের ওপর ভর করে ৩৫৫ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা। ধনঞ্জয়া ডি সিলভা করেন ৪৬ রান, দিনেশ চান্ডিমাল করেন ৩৯ রান। জবাব দিতে নেমে ড্যারিল মিচেলের দারুণ
এক সেঞ্চুরির ওপর ভর করে নিউজিল্যান্ড সংগ্রহ করে ৩৭৩ রান। ম্যাট হেনরি করেন ৭২ রান। টম ল্যাথামের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ রান। ১৮ রান পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা।
কিন্তু দিনেশ চান্ডিমাল এবং ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিয়ে দুটি ভালো জুটি গড়েন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। তাতেই তাদের রান পার হয় ৩০০। ২৩৫ বল খেলে ১১৫ রান করে আউট হন ম্যাথিউজ।
১১টি বাউন্ডারির মার ছিল তার ব্যাটে। ৪২ রান করেন দিনেশ চান্ডিমাল এবং ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন ধনঞ্জয়া ডি সিলবা। ৪ উইকেট নেন ব্লেয়ার টিকনার, ম্যাট হেনরি নেন ৩ উইকেট এবং ২ উইকেট নেন টিম সাউদি।