নেতৃত্ব হারানোর পর দলে ছিলেন। কিন্তু অফ ফর্মের কারণে একাদশেও জায়গা হারিয়ে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিস্টখ্যাত মুমিনুল হক। সর্বশেষ গত জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যে সিরিজ খেলেছিলো বাংলাদেশ, সেই সিরিজের শেষ টেস্টে একাদশে জায়গা পাননি মুমিনুল।
অফ ফর্মে থাকলে কিছু সময় ব্রেক নিতে হয়। মুমিনুলকে সে ব্রেকটাই দিয়েছিলো বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। এমনকি ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজে চট্টগ্রাম টেস্টেও একাদশে রাখা হয়নি মুমিনুলকে।
যদিও চট্টগ্রাম তার প্রিয় গ্রাউন্ডগুলোর একটি। কিন্তু মুমিনুলের পরিবর্তে যাকে দলে নেয়া হয়েছিলো, সেই ইয়াসির আলী রাব্বি যারপরনাই ব্যর্থ। চট্টগ্রামে এক ইনিংসে ৪, অন্য ইনিংসে করেছিলেন ৫ রান।
তাকে খেলানোও হয়েছিলো তিন নম্বরে, মুমিনুলের জায়গায়। যার ফলে ঢাকা টেস্টে ইয়াসির আলী রাব্বিকে বাদ দিয়ে একাদশে নেয়া হয় মুমিনুলকে। তিনি যে তিন নম্বরে বাংলাদেশের পরীক্ষিত একজন ব্যাটার, সেটা আবারও প্রমাণ করলেন।
দলে জায়গা ফিরে পেয়েই ব্যাট হাতে পুরনো চেহারায় ফিরে এলেন টেস্টে বাংলাদেশের এই সেরা ব্যাটার। করলেন অসাধারণ এক হাফ সেঞ্চুরি। ভারতীয় বোলারদের চোখ রাঙানিতে যেখানে উইকেটের অন্য প্রান্তে উইকেট পড়ছে,
তখন মুমিনুল একপ্রান্ত আগলেই রাখেননি শুধু, রানের চাকাও সচল রেখেছেন। ৭৮ বল খেলে ৯ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারর ১৫তম হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। হাফ সেঞ্চুরি করেই থেমে থাকছেন না।
ইনিংসটাকে আরও বড় করার চেষ্টা করছেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখার সময় মুমিনুলের রান ৮৪ বলে ৫৬। বাউন্ডারি মেরেছেন ১০টি। এই রিপোর্ট লেখার আগে পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ১৬৭/৪ , ৪৭ ওভারে। লিটন ২১ এবং মমিনুল ৫৭ রানে ব্যাট করছেন।