বাংলাদেশকে সাথে নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সাথে ত্রিদেশীয় টি-২০ টুর্নামেন্ট খেলছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের চতুর্থ ম্যাচে স্বাগতিকদের সাথে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে পাক-বাহিনী।
তবে সবকিছু ছাপিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে বাবর আজমদের দুর্বল মিডল অর্ডার ও ইনিংসে কোনো ছক্কা না হাঁকানো নিয়ে। এদিন টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক বাবর আজম।
কিন্তু দলের দুই ওপেনার রিজওয়ান ও বাবর তেমন ভালো শুরু করতে পারেননি। তার প্রভাব পড়েছে পুরো ইনিংসজুড়ে। যাচ্ছেতাই ব্যাটিং করেছে পাকিস্তান দল। ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩০ রান করতে পারে তারা।
শুধু তাই নয় ইনিংসে কোনো ছক্কা হাঁকাতে পারেননি কোনো ব্যাটার। পাকিস্তানের মতো একটি টি-২০ মেজাজের দলের ছক্কা না মারার বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ আলোচনা হচ্ছে।
একইসাথে ক্ষুব্ধ দলটির ভক্তরাও। জিও নিউজ জানাচ্ছে, পূর্ণ ২০ ওভার খেলে ইনিংসে কোনো ছক্কা হয়নি পাকিস্তানের, এমন ইনিংস সর্বশেষ দেখা গেছে ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
ম্যাচটি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই ম্যাচে পাকিস্তানি কোনো ব্যাটারই ছক্কা হাঁকাতে পারেননি। অর্থাৎ দীর্ঘ আট বছর পর সেই দুঃখস্মৃতি ফেরালেন পাক ক্রিকেটাররা।
তবে ছক্কা হয়নি এমন ইনিংস গেছে পাকিস্তানের আরো কয়েকটি। কিন্তু ওই ম্যাচগুলোতে পুরো ২০ ওভার খেলেনি দল। ২০১৬ সালে ভারতের বিপক্ষে একটি ম্যাচে মাত্র ১৭ ওভার ৩ বলে অলআউট হয় পাকিস্তান।
সংগ্রহ করে ৮৩ রান মাত্র। ম্যাচটি হয়েছিল মিরপুরে। ভারত ওই ম্যাচে ৫ উইকেটের জয় পায়। ওই ম্যাচেও কোনো ছক্কা হাঁকায়নি পাকিস্তান। দুবাইতে ২০১৭ সালে একটি ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটাররা কোনো ছক্কা হাঁকাননি।
ম্যাচটি ছিল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ১৭ ওভার ২ বল খেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ১০২ রানে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ম্যাচটি তারা জিতে নেয় ৭ উইকেটে। ওই ম্যাচেও কোনো ছক্কা হয়নি পাকিস্তানের।
২০১৯ সালেও এমন একটি ইনিংস গিয়েছে, যেখানে কোনো পাকিস্তানি ব্যাটার ছক্কা মারতে পারেননি। লাহোরে অনুষ্ঠিত শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওই ম্যাচে লক্ষ্য ছিল ১৬৬ রানের।
কিন্তু ১৭ ওভার ৪ বল খেলে মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায় বাক-বাহিনী। এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা ৬৪ রানের বড় জয় পায়। বাংলাদেশের বিপক্ষেও হয়েছে এমন একটি ইনিংস। যেখানে ছক্কা হাঁকাননি কোনো পাক-ব্যাটার।
২০২০ সালে সেবার বাংলাদেশ পাকিস্তানকে ১৪২ রানের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল। পাকিস্তান তা ১৯ ওভার ৩ বলেই সংগ্রহ করে ফেলে। ওই ম্যাচে পাক-বাহিনী ৫ উইকেটের জয় পায়।