Breaking News

চরম হতাশার মধ্যেও সুখবর! পেলেন ‘নেইমার’

কাতার বিশ্বকাপে অনেক স্বপ্ন নিয়ে খেলতে গিয়েছিল নেইমাররা। শুরুটা বেশ ভালোই করেছিলেন নেইমার জুনিয়র-থিয়াগো সিলভারা। কিন্তু রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে হতাশায় মুচড়ে পড়ে।

নেইমারদের সান্ত¡না দেন ক্রীড়াঙ্গনের তারকারা। এসব খবরের মধ্যেও একটি সুখবর পেয়েছেন নেইমার। ২০১৩ সালে ব্রাজিলের সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগদান সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ থেকে নেইমারকে মুক্ত করেছে স্পেনের একটি আদালত।

আদালতের এক বিবৃতিতে বলা হয়, এফসি বার্সেলোনার প্রাক্তন সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমেউ, সান্তোস এফসির স্যান্ড্রো রোসেল ও নেইমারসহ নয়জনকে মামলা থেকে মুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারকরা।

ব্রাজিলের একটি সংস্থা নেইমার, তার বাবা, পাশাপাশি সান্তোস এবং বার্সেলোনার প্রাক্তন সভাপতির বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে স্থানান্তরের আসল পরিমাণ গোপন করার অভিযোগ করেছিল। কোম্পানিটি খেলোয়াড়ের সঙ্গে সম্পর্কিত অধিকারের আংশিক অধিকারী ছিল।

আদালত বলেছে, চুক্তিটি জালিয়াতি করে নাকি কোম্পানির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তবে সেই অভিযোগ অবশ্য প্রমাণ করা যায়নি। ৩০ বছর বয়সি এই ফুটবলারের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দাবি করেছিল সংস্থাটি।

পরে তিনি পাঁচ বছরের পরিবর্তে আড়াই বছরের কারাদণ্ড চেয়েছিলেন। বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র একমাস আগে অক্টোবরের মধ্যভাগে নেইমারের মামলাটি শুরু হয়।

এর আগে ২০১৩ সালে সান্তোস থেকে বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার পর প্রতারণা ও দুর্নীতির অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন পিএসজির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারকে। হয়েছিল মামলাও।

সেখান থেকে অক্টোবরে দীর্ঘ ৯ বছর পর অবশেষে সেই অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি পান নেইমার। কাতার বিশ্বকাপের আগে দায়মুক্তি পাওয়ায় ব্রাজিলের জার্সিতে মাঠে উদযাপনের একটি ছবি পোস্ট করে নেইমার লিখেছিলেন,

নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন এবং ঈশ্বর আপনাকে দেখাবেন আপনি কতটা শক্তিশালী। স্পেনের প্রসিকিউটররা শুরুতে একই অভিযোগে নেইমারের দুই বছরের জেল ও ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা চেয়েছিল।

কিন্তু তারা নতুন করে ঘোষণা দিয়েছে, অভিযুক্তদের সবার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। নেইমার ছাড়াও মামলায় বিবাদী করা হয় তার বাবা-মা, সংশ্লিষ্ট ওই দুই ক্লাব,

সাবেক বার্সেলোনা প্রেসিডেন্ট জোসেপ মারিয়া বার্তেমেউ ও সান্দ্রো রসেল এবং সাবেক সান্তোস প্রেসিডেন্ট ওদিলিও রদ্রিগেসকে। নেইমারের সান্তোস থেকে বার্সেলোনা দলবদল নিয়ে মামলাটি করেছিল ব্রাজিলের বিনিয়োগ ফার্ম ডিআইএস।

সান্তোসে থাকাকালীন নেইমারের ৪০% স্বত্বের মালিক ছিল তারা। প্রতিষ্ঠানটির দাবি ওই সময় ট্রান্সফার ফির অঙ্কটা কম করে দেখানোয় প্রাপ্য অংশ পাওয়া থেকে তারা বঞ্চিত হয়েছেন।

নেইমার ও বার্সেলোনা অবশ্য শুরু থেকেই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ডিআইএস এই ঘটনায় ৫ বছরের জেল দাবি করেছিল নেইমার, রসেল ও বার্তেমেউর। সঙ্গে ১৪৯ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা।

কিন্তু প্রসিকিউটররা রসেলের জন্য ৫ বছরের জেল, ৮.৪ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা এবং নেইমারের জন্য দুই বছরের জেল ও ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানা চেয়ে আসছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *