কয়েক মিনিটের ব্যবধানে তিনটি টুইট করলেন ইংলিশ কিংবদন্তি গ্যারি লিনেকার। তিনটিই আর্লিং হালান্ডকে নিয়ে। তাঁর শেষ টুইট, ‘২০ ম্যাচে চারটি হ্যাটট্রিক। ব্যাপারটা ফালতু হয়ে যাচ্ছে! হ্যাঁ, গোল আর হ্যাটট্রিকের মতো ব্যাপারগুলো সাদামাটা বানিয়ে ফেলেছেন আর্লিং হালান্ড।
উলভসের বিপক্ষে গতকাল করলেন হ্যাটট্রিক, যা এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে তাঁর চতুর্থ। অথচ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দুই দফা খেলে লিগে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হ্যাটট্রিক ছিল তিনটি।
মৌসুমের মাঝপথেই তাঁকে ছাড়িয়ে গেলেন হালান্ড। তাঁর কীর্তিতে উলভসকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানসিটি। ম্যাচের আগে কোচ পেপ গার্দিওলা হুমকিই দিয়েছিলেন, ‘জেগে না উঠলে চলে যাব আমি।
কোচের হুমকির জবাবটা কি অসাধারণভাবেই দিলেন খেলোয়াড়রা। ম্যানসিটিতে যোগ দেওয়ার পর ইতিহাদ স্টেডিয়ামে এই মৌসুমে হালান্ড করলেন ১৮ গোল, যা ক্লাবের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
২০১১-১২ মৌসুমে ১৬ গোল করে এত দিন শীর্ষে ছিলেন সের্হিয়ো আগুয়েরো। সব মিলিয়ে প্রিমিয়ার লিগে এই মৌসুমে হালান্ডের গোল ২৫টি। অথচ আগের তিন মৌসুমে সমান ২৩ গোল করেই গোল্ডেন বুট জিতেছিলেন মো সালাহ,
হ্যারি কেইন ও জেমি ভার্ডি। ১৮ ম্যাচ বাকি থাকতে এই তিনজনকে ছাড়িয়ে গেলেন হালান্ড। অ্যান্ডি কোল ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে আর অ্যালান শিয়ারার প্রিমিয়ার লিগে ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমে করেছিলেন সর্বোচ্চ ৩৪ গোল।
হালান্ডের চোখ নিশ্চয়ই এখন সেই রেকর্ডে। ৪০ মিনিটে গোলের শুরুটা করেন আর্লিং হালান্ড। কেভিন ডি ব্রুইনের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে শুরু করেন গোলের। বিরতির পাঁচ মিনিট পরই পেনাল্টি পায় ম্যানসিটি।
ডি-বক্সে আকে ফাউল করেছিলেন গুনদোগানকে। পেনাল্টি থেকে গোল করতে ভুল করেননি হালান্ড। তিনি হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ৫৪ মিনিটে। গোলরক্ষকের ভুলে বল পেয়ে রিয়াদ মাহারেজের বাড়ানো পাসটা ভুল করেননি জালে জড়াতে।