ক্রিকেট প্রেমী সকল ভক্তদের আস্থার প্রতিদান দিলেন এনামুল হক বিজয়। অনেক দিন পর দলে ফিরেছেন। ড্রেসিংরুমের বাকিদের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া তার জন্য কঠিনই হওয়ার কথা। কিন্তু এনামুল হক বিজয়ের সেই অস্বস্তিতে পড়তে হয়নি।
সতীর্থরা এভাবেই বরণ করে নিয়েছেন যে, দীর্ঘ বিরতির কথা মনেই পড়েনি তার। বিজয় জানালেন, দলের প্রতিটি সদস্য তার প্রতি আন্তরিক ছিলেন এবং তাকে অনুপ্রাণিত করেছেন।
এজন্যই তার মাঠে নেমে পারফর্ম করা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। বিজয় বলেন আসলে আমি প্রতিটি খেলোয়াড়ের কাছ থেকে দারুণ সাপোর্ট পেয়েছি। অবশ্যই তামিম-রিয়াদ ভাইয়ের কাছ থেকে অনেক বেশি পেয়েছি।
জুনিয়রদের মধ্যে আফিফ আছে, তাসকিন আছে, মোসাদ্দেক-লিটন আছে। সবাই আসলে আমাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছে এবং বুঝতে দেয়নি যে আমি অনেক পর এসেছি। আমরা একটা পরিবারের মতো ছিলাম।
এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার সঙ্গে শেষ ওয়ানডেতে ২৪ বলে ১৪ করে আউট। তার ২ বছর পর এবার হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে ওয়ানডে দলে ফিরে আসা।
তিন ম্যাচের সিরিজে দুুটি বিগ ফিফটিসহ (৭৩+২০+৭৬) মোট ১৬৯ রান। ফেরাটা ভালোই হলো এনামুল হক বিজয়ের। খোদ প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু তার পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আজ (শুক্রবার) সকালে জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপে নান্নু বলেন, ‘বিজয় অনেকদিন পর দলে ফিরে ভালো খেলেছে। ওয়ানডেতে নিজেকে মেলে ধরেছে। এটা আমাদের জন্য একটা প্রাপ্তি।’
বিজয়ের কেমন লাগছে? দেশে ফিরে ডানহাতি এই ওপেনার বললেন, ‘অনেকদিন পর ওয়ানডে দলে আসলাম, এজন্য খুব ভালো লাগছে। খুব এক্সসাইটেড ছিলাম আসলে।
কঠোর পরিশ্রম করেছি। আসলে তিন বছর পর যেহেতু এসেছি, চেষ্টা করেছি যে সুযোগটা কাজে লাগানোর জন্য। আমার প্রসেসটা ঠিক রাখাও ছিল লক্ষ্য। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে চেষ্টা করবো এটা ধরে রাখার।’
এটা একটা ভালো দিক। এতে করে পারফর্ম করা সহজ হয়ে যায়। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটারের ধারণা দলের প্রতিটি সদস্যই চেয়েছেন যাতে তিনি রান করতে পারেন।
বিজয়ের ভাষায় যেহেতু আমি প্রথম শ্রেণি আর প্রিমিয়ার লিগে বেশ ভালো খেলে গিয়েছি। এ কারণে সবাই চাচ্ছিল যে আমি পারফর্ম করি এবং ওই দোয়াটা আসলে কাজে লেগেছে। আমার পারফর্ম করাটা অনেক সহজ হয়ে গেছে।