টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে নানা উত্থান-পতনের পর পাকিস্তানকে ১৭১ রানের বড় টার্গেট দেয় শ্রীলঙ্কা। তবে সেই বড় রান তাড়া করতে গিয়ে খেই হারায় বাবর আজমের দল।
লঙ্কান বোলারদের তোপে রিজওয়ান ও ইফতেখার ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য স্কোর করতে পারেননি। রিজওয়ান করেছেন ৪৯ বলে ৫৫ আর ৩১ বলে ৩২ রান করেছেন ইফতেখার।
লঙ্কান বোলারদের মধ্যে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে প্রমোদ মাদুশান। পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ১৪৭ রানে। ফলে এশিয়া কাপের ফাইনালে ২৩ রানের হারের স্বাদ পায় বাবরের দল।
অর্থ বিশেষ করে ডলার সঙ্কটে ভোগা শ্রীলঙ্কার হাতে এবার উঠেছে এশিয়া কাপের শিরোপা। তাতে শ্রীলঙ্কার নাম ক্রীড়াঙ্গণে যেমন উজ্জ্বল হয়েছে, তেমন আর্থিকভাবে কিছুটা লাভবান হয়েছে লঙ্কানরা।
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়া এবারের এশিয়া কাপে দুই ফাইনালিস্টের মোট প্রাইজমানি ছিল তিন লাখ মার্কিন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৮৫ লাখ টাকা)।
এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা পেয়েছে পাবে ২ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা)। আর রানার্সআপ দল হিসেবে পাকিস্তান পেয়েছে ১ লাখ মার্কিন ডলার। শিরোপাজয়ী দল প্রাইজমানির পাশাপাশি পেয়েছে বিভিন্ন ধরনের বোনাসও।
ক্রিকেট বিশ্বে এশিয়া কাপই একমাত্র মহাদেশীয় টুর্নামেন্ট। আর কোথাও হয় না বলে মহাদেশীয় পর্যায়ের তুলনা টানা যায় না। তবে বিশ্বকাপের সঙ্গে মেলাতে গেলে এশিয়া কাপের প্রাইজমানি কয়েক গুণ কম।
২০২১ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া পেয়েছিল ১৬ লাখ মার্কিন ডলার। রানার্সআপ নিউজিল্যান্ড পেয়েছিল ৮ লাখ মার্কিন ডলার।