Breaking News

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে যে ৪ কারণে মূলত পাকিস্তানের কাছে হারল ভারত

প্তাহ না পেরোতেই ভারতের বিপক্ষে হারের বদলা নিলো পাকিস্তান। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম খেলায় ভারতের কাছে ৫ উইকেটে হারের পর আজ সুপার ফোর পর্বে তুলে নিলো সেই হারের বদলা।

কিন্তু এই ম্যাচে কী কী ভুলের কারণে হারল ভারত? সেগুলোই তুলে ধরা হলো:-

১ ) দারুণ শুরু করেও ধরে রাখতে পারেনি ভারত,

টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত শুরু করেছিল ভারত। লোকেশ রাহুল ও অধিনায়ক রোহিত শর্মা প্রথম ৫ ওভারে ভারতকে এনে দেন ৫৪ রান। তবে এমন দারুণ শুরু ধরে রাখতে পারেনি ভারত।

দলীয় ৬২ রানের মধ্যে বিদায় নেন দুই ওপেনারই। এরপর ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন সূর্যকুমার যাদব ও ঋষভ পন্থ। সূর্যকুমার ১০ বলে ১৩ ও পন্থ ১২ বলে ১৪ রান করেন। হার্দিক পাণ্ডিয়া তো খুলতে পারেননি রানের খাতাই।

কোহলির ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংসে ভর করে ভারত শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ১৮১ রান তুলতে সমর্থ হয়।

২) পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে পরিবর্তন,

১৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে নবম ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান, তখন পাকিস্তানের রান মাত্র ৬৩। সেই সময় স্বীকৃত ব্যাটার না পাঠিয়ে লোয়ার অর্ডার ব্যাটার মোহাম্মদ নওয়াজকে মাঠে নামিয়ে দেয় পাকিস্তান।

এতেই বাজিমাত। মাত্র ২০ বলে ৪২ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে নওয়াজই ম্যাচটি পাকিস্তানের পক্ষে নিয়ে যান। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তাঁর হাতেই।

৩) রিজওয়ানের ফর্ম,

এবারের এশিয়া কাপে দারুণ ফর্মে রয়েছেন পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান। হংকংয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৮ রানের ইনিংস খেলার পর কাল ভারতের বিপক্ষে ৫১ বলে করলেন ৭১।

এই ধরনের রান তাড়ায় উইকেট পড়ে গেলে যারা নামেন তাদের মাথায় একটা চাপ থাকে, রিজওয়ান চেষ্টা করেছেন উইকেটে টিকে থাকতে এবং ডট বল না দিতে।

৪) শেষ পর্যন্ত স্নায়ু ধরে রাখতে পারেনি ভারত,

হাইভোল্টেজ ম্যাচের স্নায়ুর চাপটা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পারেনি ভারত। ম্যাচে রোহিত শর্মাকে খুবই উদ্বিগ্ন মনে হয়েছে। বিশেষ করে শেষ কয়েকটি ওভারে ফিল্ডিং সাজানোর সময় বেশ নার্ভাস ছিলেন তিনি।

শেষ ওভারে ভারতকে বৃত্তের ভেতর একজন ফিল্ডার বাড়তি নিয়ে খেলতে হয়েছে, ওভার রেট ধরে না রাখার শাস্তি হিসেবে। পাকিস্তানের ইনিংসের ১৮তম ওভারে সহজ একটি ক্যাচ ফেলে দেন আর্শদিপ সিং। অনেকেই এই ক্যাচটিকেই ম্যাচ ভারতের হারার কারণ হিসেবে দেখছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *