Breaking News

এশিয়া কাপের ফাইনালে টিকে থাকার লড়ায়ে শ্রীলঙ্কাকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য দিলো ভারত

১২ রানে ছিল না ২ উইকেট। বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে দারুণ এক ইনিংস খেলে দেন রোহিত শর্মা। কিন্তু তিনি আউট হওয়ার পরই ফের ভারতকে চেপে ধরেন লঙ্কান বোলাররা। ১৩তম ওভারে ২ উইকেটে ছিল ১১০ রান।

সেখান থেকে ৮ উইকেটে ১৭৩ রানের পুঁজি পেলো ভারত। রোহিতের ঝড়ো ফিফটির পরও প্রত্যাশিত সংগ্রহ পাওয়া হলো না দলটির। ভারতের জন্য বলতে গেলে বাঁচামরার লড়াই।

আজ (মঙ্গলবার) হারলে বিদায় বলতে গেলে নিশ্চিত হয়ে যাবে রোহিত শর্মার দলের। যা সম্ভাবনা থাকবে কেবল কাগজে-কলমে। দুবাইয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টসভাগ্য সহায় হয়নি ভারতের।

টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা। শানাকার এই সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করতে শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরেন লঙ্কান বোলাররা। ১২ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে রোহিত শর্মার দল।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে থিকশানার ঘূর্ণিতে এলবিডব্লিউ হন লোকেশ রাহুল (৬)। রিভিউ নিয়েও কাজ হয়নি। পরের ওভারেই বিরাট কোহলি ফেরেন শূন্য রানে। দিলশান মধুশঙ্কাকে ক্রস খেলতে গিয়ে পুরো লাইন মিস করে বোল্ড হন তিনি।

বিপদে পড়ে ভারত। সেই বিপদ দারুণভাবে কাটিয়ে উঠেন রোহিত শর্মা। সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ বলে ৯৭ রানের জুটি গড়েন ভারতীয় অধিনায়ক, ৩২ বলেই করেন ফিফটি।

নবম ওভারেই অবশ্য ফিরতে পারতেন রোহিত। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে এক্সট্রা কভারে হাঁকাতে গেলে বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্যাচ নিতে যান শানাকা। কিন্তু এক হাতে বল পেলেও লঙ্কান অধিনায়ক কঠিন সে ক্যাচ রাখতে পারেননি।

ব্যক্তিগত ৪১ রানে বেঁচে যান রোহিত। সেই রোহিত ফিফটি করার পরও অনেকটা সময় চালিয়ে খেলেছেন। অবশেষে ইনিংসের ১৩তম ওভারে তাকে সাজঘরের পথ দেখান পেসার চামিকা করুনারত্নে।

৪১ বলে গড়া রোহিতের ৭২ রানের ইনিংসে ছিল ৫ চার আর ৪ ছক্কার মার। রোহিত ফেরার পর দ্রুত আরও একটি উইকেট হারিয়ে বসে ভারত। ১৫তম ওভারে প্রথমবার বল হাতে নিয়েই মারকুটে সূর্যকুমার যাদবকে ফেরান লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা।

তার বাউন্সি ডেলিভারি শর্ট থার্ডম্যান দিয়ে তুলে মারতে গিয়েছিলেন সূর্য। কিন্তু টাইমিং না হওয়ায় ক্যাচ উঠে যায়। ২৯ বলে ৩৪ করে ফেরেন এই হার্ডহিটার। ৯ রানের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে ভারত।

হার্দিক পান্ডিয়া শুরুটা করেছিলেন ভালো। ১৮তম ওভারে শানাকাকে বড় এক ছক্কাও হাঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ওই ওভারে তাকে তুলে নেন লঙ্কান অধিনায়ক। ডিপ মিডউইকেটে হার্দিক ধরা পড়েন ১৩ বলে ১৭ করে।

ওই ওভারে আরও একটি উইকেট পড়তে পারতো। শর্ট থার্ডম্যানে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন নতুন ব্যাটার দীপক হুদা। কিন্তু রিপ্লে দেখে বাউন্সি ডেলিভারিটি ‌‘নো’ ডাকেন আম্পায়ার। ওই জীবন পেয়েও অবশ্য কাজে লাগাতে পারেননি দীপক।

পরের ওভারে লেগস্টাম্প উম্মুক্ত করে মধুশঙ্কাকে মারতে গিয়ে বোল্ড হন ডানহাতি এই ব্যাটার (৪ বলে ৩)। এক বল পর পান্তও বাউন্ডারিতে ক্যাচ হয়ে যান পুল খেলতে গিয়ে (১৩ বলে ১৭)।

১৯তম ওভারটিতে সবমিলিয়ে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন মধুশঙ্কা। চামিকা করুনারত্নের করা ইনিংসের শেষ ওভারে এক উইকেট হারালেও অশ্বিনের ছক্কায় ১২ রান তুলে নেয় ভারত।

অশ্বিন ৭ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন। মধুশঙ্কাই লঙ্কান বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল। ৪ ওভারে মাত্র ২৪ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন বাঁহাতি এই পেসার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *