Breaking News

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে বার্তা দিল রশিদ খানরা

কথায় আছে, উঠন্তি মুলো নাকি পত্তনেই চেনা যায়। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে যেন তার প্রমাণ মিলল শতভাগ। শুরুর তিন ওভার যা বলে দিয়েছিল, ম্যাচের পরের গল্পটা ব্যতিক্রম হলো না একটু।

শুরুর দাপটটা ধরে রেখে শ্রীলঙ্কাকে ১০৫ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে মাত্র ১০.১ ওভারেই আফগানিস্তান পকেটে পুরেছে ম্যাচটা। আফগানরা যে ঢঙে ম্যাচটা জিতেছে, তাতে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বার্তা পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ দলেও।

শেষ এক বছরে টি-টোয়েন্টিতে তথৈবচ হাল বাংলাদেশের। এর ওপর শ্রীলঙ্কানদের বিপক্ষে আফগানদের এমন জয় একটুও কি চিন্তায় ফেলবে না বাংলাদেশকে? রাজসিক এই জয়ের শুরুটা আফগানিস্তান করেছিল শুরুর তিন ওভারে তিন উইকেট তুলে নিয়ে।

ফজলহক ফারুকি শুরুর ওভারেই বিদায় করেছিলেন কুশল মেন্ডিস আর চারিথ আসালঙ্কাকে। এরপরের ওভারে নাভিন উল হকের শিকার বনেন পাথুম নিসাঙ্কা। ৫ রানে তিন উইকেট খুইয়ে শ্রীলঙ্কা রীতিমতো পড়ে যায় অথৈ সাগরে।

সেখান থেকে টেনে তুলে শ্রীলঙ্কাকে এরপর লড়াকু পুঁজির আশা দেখাচ্ছিলেন দানুশকা গুনাথিলাকা আর ভানুকা রাজাপাকশা। দুজনের এই জুটি পাওয়ারপ্লেতে আর কোনো বিপদ হতে দেননি দলের।

তবে পাওয়ারপ্লে শেষেই যেন গুনাথিলাকার মাথায় কী যেন খেলে গেল! রিভার্স সুইপ করলেন মুজিব উর রহমানকে। ডিপ কভারে ফিল্ডার দেখার পরও।

শেষমেশ বলটা গিয়ে জমা পড়ে সেখানে থাকা কারিম জানাতের হাতে। ৪৪ রানের জুটি ভাঙে শ্রীলঙ্কার, সাথে সাথে যেন ভাঙে লড়াকু পুঁজির আশাটাও। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে শ্রীলঙ্কা এক পর্যায়ে দুই অঙ্কে অলআউটের শঙ্কায় পড়ে যায়।

৭৫ রানে নেই হয়ে যায় ৯ উইকেট। সেখান থেকে চামিকা করুণারত্নের ৩৮ বলে ৩১ রানের ইনিংসে কোনোক্রমে ১০০ পেরোয় লঙ্কানরা। আফগানিস্তানের সামনে লক্ষ্যটা দাঁড়ায় ১০৬ রানের।

তবে যে দলের ব্যাটিং লাইন আপে আছে রাহমানউল্লাহ গুরবাজ, হজরতউল্লাহ জাজাইদের মতো ব্যাটসম্যান, তাদের সামনে যে এই লক্ষ্য ধসে যাবে বালির বাঁধের মতো, সেটা অনুমিতই ছিল।

জবাব দিতে নেমে সেটাই লঙ্কান বোলারদের হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন দুজন। দুই লঙ্কান ওপেনার মিলে শুরুর ছয় ওভারেই লক্ষ্যের খুব কাছে পৌঁছে দেন দলকে। পাওয়ারপ্লে শেষে তুলে ফেলেন ৮৩ রান।

পাওয়ারপ্লে শেষে ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গার শিকার হয়ে গুরবাজ ফেরেন। শেষ দিকে দুর্ভাগ্যের শিকার হয়ে রান আউট হন ইব্রাহিম জাদরান। তাতে আফগানদের দাপুটে জয়টা অবশ্য থামানো যায়নি একটুও।

১০.১ ওভার শেষেই ১০৬ তুলে ফেলে মোহাম্মদ নবীর দল, ৮ উইকেটে জয় তুলে নেয় আফগানরা। এই জয়ে এখন এ গ্রুপের শীর্ষে তো আছেই, আফগানিস্তান বার্তাটা বাংলাদেশকেও দিয়ে রাখল বৈকি!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *