Breaking News

এই বাংলাদেশের কাছে হেরেই ক্যারিয়ার শেষ হয়েছিল শ্রীরামের, এবার এলেন কোচ হয়ে

এশিয়া কাপের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে এসেছে বড় পরিবর্তন। রাসেল ডমিঙ্গোকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে টি-টোয়েন্টি থেকে। এখন থেকে ডমিঙ্গো দেখবেন ওয়ানডে ও টেস্ট ফরম্যাটটা।

এরই মধ্যে টি-টোয়েন্টির জন্য হেড কোচের নাম ঘোষণা না করলেও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের কথাতেই বোঝা যাচ্ছে টেকনিক্যাল কনসাল্টেড হিসেবে যোগ দেওয়া শ্রীধরন শ্রীরামই নেতৃত্ব দেবেন কোচিং স্টাফকে।

টি-টোয়েন্টিতে হেড কোচ কে হবেন সেই প্রশ্নের জবাবে সোমবার পাপন বলেছেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে হেড কোচ বলতে এখনো কেউ নাই। কারণ আমাদের ব্যাটিং কোচ আছে, স্পিন বোলিং কোচ আছে, পেস বোলিং কোচ আছে, ফিল্ডিং কোচ আছে, অধিনায়ক আছে।

তবে আমরা টি-টোয়েন্টির জন্য একজন টেকনিক্যাল কনসাল্টেড নিয়েছি। সে আমাদেরকে গেম প্ল্যানটা দেবে। গেম প্ল্যানটাও যদি সে দেয় তাহলে হেড কোচ কী আর করবে কোচিং ক্যারিয়ারে সফলতা পেলেও খেলোয়াড় হিসেবে তেমন সফল ছিলেন না শ্রীরাম।

ভারতের হয়ে মাত্র আটটি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। সাত ইনিংসে ব্যাট করে মোট ৮১ রান করতে পেরেছিলেন এই বাঁহাতি। তাঁর গড় ১৩.৫ ও স্ট্রাইকরেট ৬০।

২০১০ পর্যন্ত খেলে আইপিএলে মাত্র দুটি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল ভারতীয় দল। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ভারত জয়লাভ করে ২-১ ব্যবধানে।

এই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভারতকে হারায়। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ জয় পায় ১৫ রানে। ওই ম্যাচে ৫৭ রান করলেও শ্রীরাম খেলেছিলেন ৯১ বল। সেই ম্যাচটিই ছিল শ্রীরামের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

এরপর আর কখনো ভারতীয় দলে সুযোগ পাননি শ্রীরাম। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে তাঁকে ছাড়াই খেলতে নামে ভারত। সেই ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯১ রানে হারিয়ে সিরিজ জেতে সৌরভ গাঙ্গুলির দল।

খেলোয়াড় হিসেবে সফল না হলেও কোচিং ক্যারিয়ারের বেশ সফল শ্রীরাম। আইপিএলে কোচিং করানোর পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়া দল যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে তখন তিনি ছিলেন সহকারী কোচ। শ্রীরামের বাংলাদেশ অধ্যায়টা কেমন হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *